ভূমিকম্প নিরাপত্তায় করণীয়
মোঃ ইজাবুল আলম
ভূমিকাঃ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভূমিকম্প একটি আতঙ্কের নাম হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নগর জীবনে ভূমিকম্প ভীত সত্যিই বেশি। ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কিছু অঞ্চল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। কারণ ঢাকার বেশিরভাগ ভবনই ভূমিকম্প নিরোধক নয়। এমতাবস্থায় বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে দুর্যোগ নেমে আসবে।
এছাড়া বিজ্ঞানীরা বহু দিন ধরে বলে আসছে যে,
বড় ধরনের ভুমিকম্পের ঝুঁকির মুখে আছে বাংলাদেশ। কবে সেই ভূমিকম্প আঘাত হানবে তা নিশ্চিত
করে বলা না গেলেও সতর্কতার বিকল্প নেই।
ভূমিকম্প কী
ভূমিকম্প হচ্ছে ভূমির কম্পন। ভূ অভ্যন্তরে
যখন একটি শিলা অন্য একটি শিলার উপরে উঠে আসে তখন ভূমি কম্পন হয়। পৃথিবীপৃষ্ঠের অংশবিশেষের
হঠাৎ অবস্থান পরিবর্তন বা আন্দোলনই ভূমিকম্পন। হঠাৎ যদি ঘরের কোনো জিনিস দুলতে শুরু
করে—যেমন, দেয়ালঘড়ি, টাঙানো ছবি বা খাটসহ অন্য যেকোন আসবাব—বুঝতে হবে ভূমিকম্প হচ্ছে।
সহজ কথায় পৃথিবীর কেঁপে ওঠাই ভূমিকম্প।
সারা পৃথিবীতে বছরে গড়ে ছয় হাজার ভূমিকম্প
হয়। এগুলোর বেশিরভাগই মৃদু, যেগুলো আমরা টের পাই না। সাধারণত তিন ধরনের ভূমিকম্প হয়ে
থাকে—প্রচণ্ড, মাঝারি ও মৃদু। আবার উৎসের গভীরতা অনুসারে ভূমিকম্পকে তিন ভাগে ভাগ করা
যায়—অগভীর, মধ্যবর্তী ও গভীর ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ভূ-পৃষ্ঠের ৭০ কিলোমিটারের
মধ্যে হলে অগভীর, ৭০ থেকে ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে হলে মধ্যবর্তী এবং ৩০০ কিলোমিটারের
নিচে হলে তাকে গভীর ভূমিকম্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ভূমিকম্প কেন হয়
ভূ-অভ্যন্তরে স্থিত গ্যাস যখন ভূ-পৃষ্ঠের ফাটল
বা আগ্নেয়গিরির মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে তখন সেই গ্যাসের অবস্থানটি ফাঁকা হয়ে পড়ে আর পৃথিবীর
উপরের তলের চাপ ওই ফাঁকা স্থানে দেবে গিয়ে ভারসাম্য বজায় রাখে। তখনই ভূ-পৃষ্ঠে প্রবল
কম্পনের অনুভব হয় যা ভূমিকম্প নামে পরিচিত। সাধারণত তিনটি প্রধান কারণে ভূমিকম্পের
উৎপত্তি হয়ে থাকে—ভূ-পৃষ্ঠের হঠাৎ পরিবর্তন জনিত কারণে, আগ্নেয়গিরি সংঘটিত হওয়ার কারণে
ও শিলাচ্যুতি জনিত কারণে।
ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব
ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব সাধারণত কয়েক সেকেন্ড
হয়ে থাকে। কিন্তু এই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে হয়ে যেতে পারে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। ভূমিকম্পের
মাত্রা অনুযায়ী ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণয়ের
জন্য যে যন্ত্র ব্যবহৃত হয় তার নাম রিখটার স্কেল। রিখটার স্কেলে এককের সীমা ১ থেকে
১০ পর্যন্ত। এই স্কেলে মাত্রা ৫-এর বেশি হওয়া মানেই ভয়াবহ দুর্যোগের আশঙ্কা। ভূমিকম্প
এক ডিগ্রি বৃদ্ধি পেলে এর মাত্রা ১০ থেকে ৩২ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। রিখটার
স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা—৫ – ৫.৯৯ মাঝারি, ৬ – ৬.৯৯ তীব্র, ৭ – ৭.৯৯ ভয়াবহ এবং ৮-এর
উপর অত্যন্ত ভয়াবহ।
ভুমিকম্পের সময় আমাদের করণীয়
বন্যা, জলোচ্ছাস, সুনামী বা আবহওয়ার পূর্বাভাস
দেয়ার যন্ত্র বের হলেও অদ্যবধি ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়ার যন্ত্র আবিস্কৃত হয় নি।
তবে ভূমিকম্প শুরু হলে তার স্থায়িত্ব কাল নির্ণয়ের রিক্টার স্কেল নামক একটি যন্ত্র
আছে।যেহেতু ভূমিকম্পের আগাম তথ্য বা পূর্বাভাস জানার কোনো উপায় নাই এবং ভূমিকম্প কোন
দিন কখন শুরু হবে সেটাও জানার কোনো উপায় নাই তাই আমাদেরকে প্রশিক্ষণ গ্রহনের মাধ্যমে
সর্বদা সচেতন ও সতর্কাবস্থায় বসবাস করতে হবে।
প্রশিক্ষণে আমরা তিনটি করণীয় সম্পর্কে জানবো।
তা হলোঃ
১। ভূমিকম্পের পূর্বে করণীয়।
২। ভূমিকম্পের সময় করণীয়।
৩। ভূমিকম্পের পর করণীয়।
ভূমিকম্পের পূর্বে করণীয়
ভূমিকম্প কখন শুরু হবে, কি হবে না সে চিন্তাভাবনা
না করে আমরাঃ-
১। বিপদ চিহ্নিতকরণঃ যে বাড়িতে বা প্রতিষ্ঠানে
বসবাস করছি বা কাজ করছি সেখানে বিপদ চিহ্নিত করতে হবে।
২। প্রস্থানের রাস্তা উন্মুক্তকরণঃ বাসা, বাড়ি
বা প্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালীন ভূমিকম্প শুরু হলে যাতে দ্রুত বের হওয়া যায় এমন সব দরজা
উন্মুক্ত রাখতে হবে।সিঁড়ি বা দরজার সামনে কখনো কোনো মালপত্র রেখে যাতায়াতের রাস্তা
সংকীর্ণ বা চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
৩। উঁচু ও শক্ত আসবাব পত্রঃ রুমের মধ্যে নিরাপদ
স্থানে উঁচু ও শক্ত আসবাব পত্র রাখতে হবে। যাতে ভূমিকম্প শুরু হলে এই সব আসবাব পত্রের
নীচে বা পার্শ্বে লুকানো যায়।
৪। দূর্যোগ প্রস্তুতি পরিকল্পনাঃ একটি দূর্যোগ
প্রস্তুতি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে এবং পরিকণ্পনাগুলো পরিবার বা অফিস স্টাফদের সাথে
আলোচনা করতে হবে।
৫। প্রাথমিক চিকিৎসাঃ ভুমিকম্পের সময় অনেকের
হাত, পা বা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গের ক্ষয় ক্ষতি হতে পারে। সে জন্য আমাদেরকে পূর্ব
থেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
৬। প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংরক্ষণকরণঃ বড় ধরণের
ভূমিকম্প হলে বিল্ডিং ধ্বসে পড়তে পারে। সে সময় অনেকে ধ্বংস স্তুপের নীচে আটকা পড়ে।
অথবা হঠাৎ এমন পরিস্থিতিতে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। সে জন্য পূর্ব থেকেই খাবার পানি,
প্রাথমিক চিকিৎসার ঔষধ, টর্চ লাইট, টিন জাত খাবার বা শুকনো খাবার, বাঁশি ইত্যাদি মজুত
রাখতে হবে।
ভূমিকম্পের সময় করণীয়
(ক) ভূমিকম্পের সময় ঘরের ভেতরে
বা অফিসে থাকলে করণীয়ঃ
১. ভূমিকম্প শুরু হওয়ার সাথে সাথে মাটিতে
হামাগুড়ি দিয়ে বসে পড়তে হবে, শক্ত-মজবুত কোনো আসবাবের নিচে ঢুকে যেতে হবে এবং সেখানে
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের দেহের মধ্যে মাথা হলো সবচেয়ে নমনীয়
অঙ্গ, আসবাবের আশ্রয় না পেলে হাত দিয়ে মাথা রক্ষা করতে হবে। ধ্বংসস্তুপ থেকে নিজেকে
রক্ষা করতে মাথা ও গলা হাত দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। এ পদ্ধতিকে ড্রপ, কভার এবং হোল্ড অন
বলে।
২. নিরাপদ আসবাবপত্র না পেলে ঘরের ভেতরের দিকের
দেয়ালের নিচে বসে আশ্রয় নিতে হবে। বাইরের দিকের দেয়াল বিপজ্জনক।
৩. জানালার কাঁচ, আয়না, আলমারি, দেয়ালে ঝুলানো
বস্তু থেকে দূরে থাকতে হবে। এগুলো ভেঙে মাথায় পড়তে পারে, তাই সতর্ক থাকতে হবে।
৪. কম্পন না থামা পর্যন্ত যেকোনো শক্ত জিনিস
ধরে রাখতে হবে। যদি বিছানায় থাকেন সেখানেই শুয়ে থাকতে হবে। মাথা ও গলা বালিশ দিয়ে ঢেকে
রাখতে হবে।
৫. বহুতল ভবনের ওপরের দিকে অবস্থান করলে ঘরের
ভেতরে থাকাই ভাল। কারণ, নিরাপদ স্থানে পৌঁছানোর পূর্বেই ভূমিকম্পের মাত্রা বেড়ে যেতে
পারে। এ ছাড়া নামতে নামতেও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
৬. ভূকম্পন থেমে গেলে বের হয়ে আসতে হবে।
৭. নিচে নামতে চাইলে কোনোভাবেই লিফট ব্যবহার
করা যাবে না। সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে নামতে হবে। নামার সময় মোবাইল ফোন আর ঘরের চাবিটা
সম্ভব হলে হাতে নিতে হবে।
৮। ঘরে হেলমেট জাতীয় কিছু থাকলে দ্রুত নিজের মাথায় পরতে হবে
ও অন্যদের পরতে বলতে হবে।
৯। রাতে ঘুমানোর সময় ভুমিকম্প হলে কোন হুড়াহুড়ি
না করে গড়িয়ে মেঝেতে কুন্ডলি পাকিয়ে শুয়ে পড়তে হবে বিছানাকে ঢাল বানিয়ে। খেয়াল
রাখতে হবে যেন বিচানার নীচে চলে না যান, বিছানার পাশে আশ্রয় নিতে হবে।
১০। বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়ার সময় সিলিং কোন অবজেক্টের
ওপর পড়ে একে গুঁড়িয়ে দেয়, ঠিক তার পাশেই ছোট্ট একটি খালি জায়গা থাকে। একে বলা
হয় ‘সেফটি জোন’ বা ‘ট্রায়াঙ্গল অফ লাইফ’। তাই ভূমিকম্পের সময় বড় কোন সোফা বা বড়
কোন অবজেক্ট যেটা কম কম্প্রেস করবে- এ রকম কিছুর পাশে আশ্রয় নিলে বাঁচার সম্ভাবনা
বেশি থাকে।
১১। ভূমিকম্পের সময় জানালা বা বারান্দা দিয়ে
লাফ দেয়া যাবে না।
১২। বাসা বাড়ি বা অফিস কিংবা কারখানায় থাকলে
দ্রুত বৈদ্যুতিক সুইচ ও গ্যাস লাইন বন্ধ করে দিতে হবে।
১৩। টাকা-পয়সা, সোনা-দানা কোন কিছু সংগে নেওয়ার
লোভে অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না।
(খ) অফিস বা বাড়ির বাইরে থাকলে করণীয়:
১. খোলা জায়গা খুঁজে আশ্রয় নিতে হবে। বহুতল
ভবনের প্রান্তভাগের নিচে কোনোভাবেই দাঁড়ানো যাবে না। উপর থেকে খণ্ড পড়ে আহত হতে পারেন।
২. লাইট পোস্ট, বিল্ডিং, ভারি গাছ অথবা বৈদ্যুতিক
তার ও পোলের নিচে দাঁড়ানো যাবে না।
৩. রাস্তায় ছোটাছুটি করা যাবে না। মাথার উপর
কাচের টুকরা, ল্যাম্প পোস্ট অথবা বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
(গ) চলমান গাড়িতে থাকলে করণীয়ঃ
১. তৎক্ষণাৎ গাড়ি থামিয়ে খোলা জায়গায় পার্ক
করে গাড়ির ভেতরেই আশ্রয় নিতে হবে।
২. কখনই ব্রিজ, ফ্লাইওভারে থামা যাবে না।
৩. বহুতল ভবন কিংবা বিপজ্জনক স্থাপনা থেকে
দূরে গাড়ি থামাতে হবে।
৪. ভূমিকম্প না থামা পর্যন্ত গাড়ির ভেতরেই
অপেক্ষা করতে হবে।
ভূমিকম্পের পরে করণীয়
১। ভূমিকম্প শেষ হলেও আবারও কম্পন হতে পারে
সে জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রায়ই দেখা যায় পরপর কয়েকবার কম্পন হয়। আবার এক ঘণ্টার
মধ্যে দুই বারও কম্পন হয়ে যায়। কখনও এক মাসের মধ্যেও ভূমিকম্প হতে পারে। তাই একবার
ভূমিকম্প হওয়ার পর আবারও হতে পারে সে ব্যাপারে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে।
২। যথা সম্ভব শান্ত থাকতে হবে।
৩। উপর থেকে ঝুলন্ত জিনিসপত্র কিছুক্ষণ পরেও
পড়তে পারে। তাই নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে হবে।
৪। নিজে আহত কিনা পরীক্ষা করতে হবে, তারপর
অপরকে সাহায্য করতে হবে। বাড়ি ঘরের ক্ষতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। নিরাপদ না হলে সবাইকে
নিয়ে বের হয়ে যেতে হবে।
৫। গ্যাসের সামান্যতম গন্ধ পেলে জানালা খুলে
বের হয়ে যেতে হবে এবং দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬। কোথাও বৈদ্যুতিক স্পার্ক চোখে পড়লে মেইন
সুইচ বা ফিউজ বন্ধ করে দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত বিল্ডিং থেকে সাবধান থাকতে হবে। অগ্নিকাণ্ড
হতে পারে।তাই সতর্ক থাকতে হবে।
৭। আহতদের খুঁজে বের করতে হবে।এবং তাদেরকে
প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। মারাত্মক জখম হলে হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করতে
হবে।
৮। অগ্নি, গ্যাস লিক, ক্ষতি গ্রস্ত তার ও পতনশীল
বস্তু চেক করতে হবে।
৯। যতক্ষণ পর্যন্ত অফিস বা বাসা বাড়ির নিরাপদ
নিশ্চিত না হওয়া যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত কক্ষে প্রবেশ করা যাবে না।
ধ্বংসস্তুপে আটকা পড়লে করণীয়
১. আগুন জ্বালানো যাবে না। বাড়িটিতে গ্যাসের
লাইন লিক থাকলে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
২. ধুলোবালির মধ্যে পড়লে হাত অথবা রুমাল দিয়ে
নাক মুখ ঢেকে নিতে হবে।
৩.ধীরে নড়াচড়া করতে হবে এবং উদ্ধারের অপেক্ষায়
থাকতে হবে।কাছে টর্চ লাইট বা মোবাইল থাকলে ধ্বংসস্তুপের ফাঁক দিয়ে আলো জ্বালিয়ে বাহিরে
আলোর সংকেত প্রেরণ করে নিজের অবস্থান জানানোর চেষ্টা করতে হবে।হাতের কাছে বাঁশি থাকলে
তা বাজিয়েও নিজের অবস্থান জানানো যেতে পারে। এছাড়া উদ্ধার কাজের সময় নিজের অস্তিত্ব
জানান দিতে পাইপ অথবা দেয়ালে আস্তে আস্তে টোকা দিয়ে শব্দ করা যেতে পারে। চিৎকার না
করাটাই শ্রেয়, এতে প্রচুর পরিমাণে ধূলা নিঃশ্বাসের সাথে ঢুকে যেতে পারে।
উপসংহারঃ ভূমিকম্প হলে অনেককেই দিশেহারা হয়ে ছোটাছুটি
করতে দেখা যায়। এটা মোটেও উচিৎ নয়। কারণ, এই অহেতুক ছোটাছুটি অনেক সময় আরও বেশি বিপদ
হয়ে দেখা দেয়। তাই ভূমিকম্পকালে দিশেহারা ছোটাছুটি না করে মাথা ঠান্ডা রেখে নিজেকে
বাঁচানোর সঠিক করণীয়গুলো পালন করতে হবে।তিনটি জিনিস মনে রাখতে হবে। ঝুঁকে পড়া, ঢেকে
রাখা ও ধরে রাখা।
প্রশ্নোত্তর পর্ব
?
ধন্যবাদ
মোঃ ইজাবুল আলম
চিফ ট্রেনিং অফিসার (CTO)
01534143644 (WhatsApp)


.webp)

