কন্ট্রোল রুম সুপারভাইজারের দায়িত্ব ও কর্তব্য
বিগত
২৯ অক্টোবর ২০২০ তারিখে প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত, বাংলাদেশে সর্বশেষ শ্রমশক্তি
জরিপ হয়েছে ২০১৭ সালে। সেই জরিপ অনুযায়ী, দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ৬ কোটি ৩৫ লাখ। আর
তাদের মধ্যে কাজ করেন ৬ কোটি ৮ লাখ নারী-পুরুষ। দুই সংখ্যার মধ্যে বিয়োগ দিলেই পাওয়া
যায় বেকারের সংখ্যা। আর সেটি হলো ২৭ লাখ। আর শতাংশ হিসাবে বাংলাদেশে বেকারত্বের হার
৪ দশমিক ২ শতাংশ।
যতই অবিশ্বাস্য লাগুক, বেকারত্বের হারের এই
পরিসংখ্যানই ব্যবহার করে যেতে হবে। অথচ কোভিড-১৯–এর কারণে অর্থনীতি
বিপর্যস্ত। গত মার্চের শেষ দিক থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর অর্থনীতি কার্যত অচল হয়ে
গেলে বহু মানুষ কাজ হারান। অর্থনীতি আবার সচল হলেও অনেকেই কাজ ফিরে পাননি। তারপরেও
সরকারি হিসাবে বেকারের সংখ্যা ২৭ লাখই থাকবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)
আবার যখন শ্রমশক্তি জরিপ করবে, তখনই জানা যাবে নতুন তথ্য।
সরকারি হিসেব যাই বলুক না কেনো
বাস্তবে বেকারের সংখ্যা অনেক অনেকগুণ বেশী। প্রতি বছর বেকারের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায়
৬ লক্ষ। সেই অনুপাতে সরকারি চাকরি তো হয়ই না বর্তমানে কোম্পানিগুলোতেও চাকরি মিলে না।
শুধু তারাই টিকে আছে বা থাকবে যারা কারিগড়ি শিক্ষায় শিক্ষিত ও বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতাসম্পন্ন
লোক। আপনি যে কোম্পানিতেই ভাইভা দিতে যান না কেনো প্রথমেই জিজ্ঞেস করবে কাজের অভিজ্ঞতা
আছে কিনা। তাছাড়া এখন সিভি সর্ট করার সময়ই প্রথমে দেখে নেয় সেই কাজের অভিজ্ঞতা লিখেছ
কিনা। যাই হোক চাকরিই যদি না হয় অভিজ্ঞা আসবে কোথা থেকে?
আমি এখানে একটি সিকিউরিটি কোম্পানিতে
নিয়োজিত কন্ট্রোল রুম সুপারভাইজারের দায়িত্ব
ও কর্তব্যাবলী নিয়ে আলোচনা করেছি। বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানিতে এই পদে লোক নিয়োগের
জন্যে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। এই পদে চাকরি করতে চাইলেও তাকে পূর্ব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে
হবে। যেহেতু আপনার কোথাও চাকরি হয়নি তাই এই পদে চাকরি করতে চাইলে পূর্ব থেকে একটা আইডিয়া
নিয়ে রাখতে হবে। আপনি নিজেই নিজেকে অভিজ্ঞ
বানাতে পারবেন।
প্রথমত- আপনাকে কম্পিউটারে দক্ষ হতে হবে।
দ্বিতীয়ত- আপনাকে সিসিটিভি মনিটরিং সিস্টেম জানতে
হবে।
তৃতীয়ত- আপনাকে ডিভাইস এর মাধ্যমে ট্রাকিং সিস্টেম
জানতে হবে।
চতুর্থ- আপনাকে প্রতিবেদন সাজিয়ে লেখার কৌশল
জানতে হবে।
পঞ্চম- আপনাকে ধৈর্য্যশীল হতে হবে।
এখানে একটি
সিকিউরিটি কোম্পানির কন্ট্রোল রুম সুপারভাইজারের দায়িত্ব ও কর্তব্যাবলী আলোচনা করা
হয়েছে। এগুলো অনুসরন করতে পারেন।
কন্ট্রোল রুম সুপারভাইজারের দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহঃ
১। কন্ট্রোল রুম সুপারভাইজারগণ তাদের সাপ্তাহিক
রোস্টার মোতাবেক ডিউটি করবেন। দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমোদন ছাড়া কোনো ডিউটি
পরিবর্তন করা যাবে না।
২। ডিউটি শুরুর কমপক্ষে ১৫ মিনিটি পূর্বে কন্ট্রোল
রুমে উপস্থিত হয়ে পূর্বের সুপারভাইজারের নিকট থেকে পরবর্তী কোনো কার্যক্রম কিংবা নির্দেশনা
থাকলে এবং যাবতীয় ইকুইপমেন্ট বা মালামাল বুঝে নিয়ে রেজিস্টারে স্বাক্ষর করবেন।
৩। অপারেসন্স এর নিয়ন্ত্রনে যে সমস্ত সিকিউরিটি
আইটেম আছে সেগুলি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করবেন এবং মাসে একবার সেগুলি সচল আছে কিনা তা চেক
করে রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করবেন। আইটেমগুলি চালু অবস্থায় না থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের
সাথে যোগাযোগ করে তা মেরামতের ব্যবস্থা করবেন। কন্ট্রোল রুম এ বর্ণিত আইটেমগুলো ডিউটি
গ্রহণ/হস্তান্তর এর সময় রিলিভারের নিকট থেকে বুঝে নিবেন।
৪। প্রতি দিন বিকাল ১৬০০ ঘটিকার সময় ঢাকা শহর
ও ঢাকা শহরের বাহিরের সকল জোনাল ইনচার্জ বা এরিয়া ম্যানেজার বা ফিল্ড সুপারভাইজারের
নিকট হতে নিম্ন লিখিত তথ্যসমূহ মোবাইল ফোন বা ল্যান্ড ফোনের মাধ্যমে সংগ্রহ করে সাথে
সাথে আপডেট রিপোর্ট দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন।
ক। কোনো সিকিউরিটি গার্ড বা পোস্ট সুপারভাইজার
বা গানম্যান অনুপস্থিত আছে কিনা।
খ। অনুপস্থিত সিকিউরিটি গার্ড বা পোস্ট সুপারভাইজার
বা গানম্যান এর স্থলে রিপ্লেসমেন্ট প্রদান করা হয়েছে কিনা।
গ। কারো ডিউটি ২৪ ঘন্টা হয়েছে কিনা।
ঘ। কারো ডিউটি ২৪ ঘন্টা হলে উক্ত ব্যক্তি, গার্ড
নম্বর ও ডিউটি পোস্টের নাম।
ঙ। বর্তমান ডিউটি পোস্ট বন্ধ হয়েছে কিনা।
চ। কোনো নতুন পোস্টে ডিউটি শুরু হয়েছে কিনা।
ছ। কারো ইউনিফর্মের কোনো সমস্যা আছে কিনা।
জ। শৃংখলাজনিত কোনো বিষয়াদি।
ঝ। নতুন গার্ড ভর্তি হয়েছে কিনা।
ঞ। কোনো সিকিউরিটি গার্ড বা পোস্ট সুপারভাইজার
বা গানম্যান অব্যাহতি গ্রহণ করেছে কিনা।
ট। পোস্টে কোনো প্রশিক্ষণের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ
করা হয়েছে কিনা।
৫। প্রতি দিন সকাল ০৯০০ ও সন্ধ্যা ১৯০০ ঘটিকার
সময় ঢাকা শহর ও ঢাকা শহরের বাহিরের সকল জোনাল ইনচার্জ বা এরিয়া ম্যানেজার বা ফিল্ড
সুপারভাইজারের নিকট হতে নিম্ন লিখিত তথ্যসমূহ মোবাইল ফোন বা ল্যান্ড ফোনের মাধ্যমে
সংগ্রহ করে সাথে সাথে আপডেট রিপোর্ট ম্যানেজার (অপস) কে অবহিত করতে হবে।
ক। কোনো INCIDENT
ঘটেছে কিনা।
খ। ক্লায়েন্ট কর্তৃক কোনো অভিযোগ করা হয়েছে কিনা
এবং অভিযোগ থাকলে সমাধানের জন্য কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে কিনা।
গ। কোনো ডিউটি পোস্ট খালি ছিল কিনা।
ঘ। কোনো সিকিউরিটি গার্ড এর এক নাগারে ২৪ ঘন্টা
ডিউটি ছিল কিনা।
ঙ। গুরুত্বপূর্ণ পোস্টসমূহে গার্ড/সুপারভাইজার
ঠিক মতো উপস্থিত ছিল কিনা কিংবা কোনো সমস্যা ছিল বা আছে কিনা।
চ। আইন শৃংখলা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে
হালনাগাদ তথ্য নেয়া।
ছ। ফিল্ড সুপারভাইজার কর্তৃক কতো জন ক্লায়েন্ট
ভিজিট করা হয়েছে।
জ। কতোজন প্রত্যাশিত (Prospective) ক্লায়েন্টের
সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।
ঝ। কতোজন সিকিউরিটি গার্ড ছুটিতে আছে, পোস্ট বা
জোন ওয়াইজ হিসাব নেয়্।া
ঞ। কতোজন সিকিউরিটি গার্ড অনুপস্থিত আছে।
ট। কোনো নতুন পোস্ট ওপেন হয়েছে কিনা।
ঠ। কোনো পোস্ট ক্লোজ হয়েছে কিনা।
ড। কোনো সিকিউরিটি গার্ড চাকরি হতে ইস্তফা দিয়েছে
কিনা।
ণ। শৃংখলাজনিত কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে
কিনা।
ত। স্পেশাল ডিউটি পোস্টসমূহে কোনো সমস্যা আছে
কিনা।
৬। ফিল্ড সুপারভাইজারগণ ২৪ ঘন্টা বিভিন্ন ডিউটি
পোস্টে সিকিউরিটি গার্ডদের ডিউটি পরিদর্শন করে থাকেন। উক্ত ফিল্ড সুপারভাইজারগণ কর্তৃক
গুরুতর কোনো রিপোর্ট সম্পর্কে কন্ট্রেল রুমকে অবহিত করলে তা সাথে সাথে ম্যানেজ্রা
(অপস) কে অবহিত করবেন এবং অকারেন্স বুকে লিখে রাখবেন। জরুরী না হলে তা অকারেন্স বুকে
লিখে পরের দিন সকালে দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসারকে অবহিত করবেন।
৭। প্রধান কার্যালয়ের সমস্ত গাড়ি এবং অফিসের প্রতিটি
রুমের চাবি কন্ট্রোল রুমে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করবেন। অফিস ছুটির পর সকল রুম সঠিকভাবে
বন্ধ করা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হবেন।
৮। কোম্পানির
অপারেশন অফিসের নিয়ন্ত্রণের সকল গাড়ির সঠিক অবস্থান সম্পর্কে সব সময় অবহিত থাকবেন।
গাড়ি পার্কিং এর সময় সংশ্লিষ্ট ড্রাইভারের নিকট থেকে সম্পূর্ণ পরিস্কার অবস্থায় গাড়ি
বুঝে নিবেন। সমস্যা থাকলে সাথে সাথে অকারেন্স বুকে লিখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত
করবেন। গাড়ির জ্বালানী (তেল/গ্যাস) ঠিক আছে কিনা তা চেক করে নিবেন।
৯। গাড়িতে রাখা জিনিস পত্র যেমন: গামছা, বালতি,
জ্যাক, বাড়তি টায়ারসহ সকল জিনিস পত্র ঠিক আছে কিনা, গ্রহণকারী তা বুঝে নিবেন।
১০। গাড়ির লগ বুক ঠিক মতো পূরণ করা আছে কিনা তা
চেক করে নিবেন।
১১। গাড়ি হস্তান্তরকারী ও গ্রহণকারী কন্ট্রোল
রুমে রক্ষিত রেজিস্টারে তারিখ ও সময় উল্লেখ পূর্বক স্বাক্ষর করবেন। গাড়ির কোনো অস্বাভাবিকতা
পরিলক্ষিত হলে তা রেজিস্টারে উল্লেখ করবেন।
১২। ডিউটি চলা অবস্থায় (২৪ ঘন্টা) যেকোনো সময়
পোস্ট থেকে গার্ড বা পোস্ট সুপারভাইজার বা ফিল্ড সুপারভাইজার বা এরিয়া ম্যানেজার বা
সম্মানত গ্রাহক/ক্লায়েন্ট যে কোনো তথ্য বা অভিযোগ প্রদান করলে তা অকারেন্স বুকে লিখে
পরের দিন দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানাবেন।
১৩। গার্ড ভর্তির বিষয়ে কেহ ফোন করলে গার্ড ভর্তির
নিয়মাবলী তাকে ধৈর্য্য সহকারে বুঝিয়ে বলবেন এবং রিক্রুটিং অফিসারের মোবাইল নম্বর দিয়ে
তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করবেন।
১৪। নতুন কোনো ক্লায়েন্ট গার্ড নেয়ার জন্য ফোন
করলে সেলস এ্যান্ড মার্কেটিং এর মোবাইল নম্বর দিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ
জানাবেন।
১৫। কন্ট্রোল রুমের সুপারভাইজারগণ অফিসের ভিতর
ও বাহিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। বিশেষ করে অফিস ছুটির পর ও বন্ধের দিনগুলোতে অফিসের
চতুর্দিকে নজরদারী বাড়ানোসহ সতর্কতা ও সাবধনতা অবলম্বন করতে হবে।
১৬। দায়িত্ব চলাকালীন সব সময় মোবাইল ফোন সুপারভাইজার
তার সঙ্গে রাখবেন। কিংবা মোবাইল এর নিকটে থাকবেন।
১৭। কন্ট্রোল রুমে বাংলাদেশের সকল থানা, সকল ফায়ার
সার্ভিস, র্যাবের সকল সেক্টর, জেলা ভিত্তিক সরকারি হাসপাতাল/বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিক
এর মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ থাকবে। বিশেষ প্রয়োজনে সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে ফোন করে বিষয়টি
অবগত করবেন।
১৮। কোম্পানিতে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ
পোস্ট অনুযায়ী সকল গার্ড/সুপারভাইজার এর নাম ও মোবাইল নম্বর রেজিস্টারে সংরক্ষিত থাকবে।
১৯। কোনো এলাকা বা জোন থেকে এক নাগারে তিন দিন কোনো তথ্য না এলে
সুপারভাইজার নিজেই ফোন করে খোঁজ খবর নিবেন।
২০। এরিয়া ম্যানেজার , ফিল্ড সুপারভাইজার ও পোস্ট
সুপারভাইজার তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে কিনা তা মনিটরিং করবেন।
২১। যে কোনো তথ্য সঠিকভাবে জেনে নিয়ে কিংবা নিশ্চিত
হয়ে রিপোর্টিং হিসেবে উপস্থাপন করবেন। কারো বিরুদ্ধে আক্রমনাত্মক কিংবা হিংসাত্মক মনোভাব
নিয়ে কোনো কাজ করবেন না।
ডেভেলপমেন্ট অব কন্ট্রোল রুম সুপারভাইজারগণের কর্তব্য পালনের তালিকাঃ
সকাল ০৬০০ হতে ০৭০০ ঘটিকা-
১। কোনো ডিউটি পোস্ট ফাঁকা আছে কিনা খোঁজ খবর
নিবেন। ফাঁকা থাকলে সুপারভাইজারদের সাথে কথা বলে পূরণ করবেন।
২। সকল ফিল্ড সুপারভাইজারদের সাথে কথা বলবেন।
সকাল ০৮০০ ঘটিকা-
১। দায়িত্ব গ্রহণ।
২। পূর্বের অসমাপ্ত কোনো কাজ থাকলে তা জেনে নিবেন।
৩। কন্ট্রোল রুমে রক্ষিত সিকিউরিটি আইটেমসমূহ
বুঝে নিবেন।
৪। অফিসের চাবি রেজিস্টারে লিপি বদ্ধ করে সংশ্লিষ্ট
কর্মকর্তাকে হস্তান্তর।
৫। গাড়ির চাবি রেজিস্টারে লিপি বদ্ধ করে সংশ্লিষ্ট
ড্রাইভারকে হস্তান্তর।
সকাল ০৯০০ ঘটিকা-
এরিয়া ম্যানেজার বা ফিল্ড সুপারভাইজারের নিকট
থেকে নিম্ন বর্ণিত বিষয়ের উপর তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন।
ক। কোনো INCIDENT
ঘটেছে কিনা।
খ। ক্লায়েন্ট কর্তৃক কোনো অভিযোগ করা হয়েছে কিনা
এবং অভিযোগ থাকলে সমাধানের জন্য কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে কিনা।
গ। কোনো ডিউটি পোস্ট খালি ছিল কিনা।
ঘ। কোনো সিকিউরিটি গার্ড এর এক নাগারে ২৪ ঘন্টা
ডিউটি ছিল কিনা।
ঙ। গুরুত্বপূর্ণ কিছু পোস্ট যেমন, ইন্ডিয়া ভিসা
সেন্টার, বাংলা লিংক টাওয়ার ও এটিএম বুথ ( অপারেশন বিভাগ থেকে তালিকা নিতে হবে) এ গার্ড/সুপারভাইজার
ঠিক মতো উপস্থিত ছিল কিনা কিংবা কোনো সমস্যা ছিল বা আছে কিনা।
চ। আইন শৃংখলা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে
হালনাগাদ তথ্য নেয়া।
ছ। ফিল্ড সুপারভাইজার কর্তৃক কতো জন ক্লায়েন্ট
ভিজিট করা হয়েছে।
জ। কতোজন প্রত্যাশিত (Prospective) ক্লায়েন্টের
সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।
ঝ। কতোজন সিকিউরিটি গার্ড ছুটিতে আছে, পোস্ট
বা জোন ওয়াইজ হিসাব নেয়্।া
ঞ। কতোজন সিকিউরিটি গার্ড অনুপস্থিত আছে।
ট। কোনো নতুন পোস্ট ওপেন হয়েছে কিনা।
ঠ। কোনো পোস্ট ক্লোজ হয়েছে কিনা।
ড। কোনো সিকিউরিটি গার্ড চাকরি হতে ইস্তফা দিয়েছে
কিনা।
ণ। শৃংখলাজনিত কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে
কিনা।
ত। স্পেশাল ডিউটি পোস্টসমূহে কোনো সমস্যা আছে
কিনা।
বিকেল ১৬০০ ঘটিকা-
প্রতি দিন বিকাল ১৬০০ ঘটিকার সময় ঢাকা শহর
ও ঢাকা শহরের বাহিরের সকল জোনাল ইনচার্জ বা এরিয়া ম্যানেজার বা ফিল্ড সুপারভাইজারের
নিকট হতে নিম্ন লিখিত তথ্যসমূহ মোবাইল ফোন বা ল্যান্ড ফোনের মাধ্যমে সংগ্রহ করে সাথে
সাথে আপডেট রিপোর্ট দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন।
ক। কোনো সিকিউরিটি গার্ড বা পোস্ট সুপারভাইজার
বা গানম্যান অনুপস্থিত আছে কিনা।
খ। অনুপস্থিত সিকিউরিটি গার্ড বা পোস্ট সুপারভাইজার
বা গানম্যান এর স্থলে রিপ্লেসমেন্ট প্রদান করা হয়েছে কিনা।
গ। কারো ডিউটি ২৪ ঘন্টা হয়েছে কিনা।
ঘ। কারো ডিউটি ২৪ ঘন্টা হলে উক্ত ব্যক্তি, গার্ড
নম্বর ও ডিউটি পোস্টের নাম।
ঙ। বর্তমান ডিউটি পোস্ট বন্ধ হয়েছে কিনা।
চ। কোনো নতুন পোস্টে ডিউটি শুরু হয়েছে কিনা।
ছ। কারো ইউনিফর্মের কোনো সমস্যা আছে কিনা।
জ। শৃংখলাজনিত কোনো বিষয়াদি।
ঝ। নতুন গার্ড ভর্তি হয়েছে কিনা।
ঞ। কোনো সিকিউরিটি গার্ড বা পোস্ট সুপারভাইজার
বা গানম্যান অব্যাহতি গ্রহণ করেছে কিনা।
ট। পোস্টে কোনো প্রশিক্ষণের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ
করা হয়েছে কিনা।
বিকেল ১৯০০ ঘটিকা-
১। এরিয়া ম্যানেজার বা ফিল্ড সুপারভাইজারগনের
নিকট হতে সকাল ০৯০০ ঘটিকার মতো তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন।
রাত ২৩০০ ঘটিকা-
১। এরিয়া ম্যানেজার বা ফিল্ড সুপারভাইজারগনের
সাথে যোগাযোগ করা।
যে সকল কাজ দিনের যে কোনো
সময় করার প্রয়োজনঃ
১। ভিজিটরকে গাইড করা।
২। প্রতি শিফটের ফিল্ড সুপারভাইজারদের সাথে যোগাযোগ করা।
৩। কোনো গাড়ি বাহিরে গেলে (ক্যাশ ক্যারিংসহ )
তার অবস্থান সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া।
৪। অকারেন্স বুকে প্রয়োজনীয় তথ্য লিপি বদ্ধ করা।
৫। অফিস বিল্ডিং এর ভিতরে সিকিউরিটি নিশ্চি করা।
৬। ফিল্ড সুপারভাইজারদের কাজে সহায়তা করা।
৭। অফিসিয়াল চিঠি পত্র বিলি করা।
রাত্রি ২২০০ হতে ০৬০০ ঘটিকা পর্যন্ত-
১। নাইট ইন্সপেকশন কর্মকর্তার খোঁজ খবর নেয়া।
২। সকল গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে ফোন করে খোঁজ খবর
নেয়া ।
(সমাপ্ত)
Written By
Md. Izabul Alam
Consultant &
Specialist (Security, Training & Investigation)
Author of Many Security
Books.
GENERAL DIRECTOR,
PIS-PRIVATE INVESTIGATION SERVICES.
PRINCIPAL,
(BCTI) BANGLADESH CSE TRAINING
INSTITUTE.
PRINCIPAL,
BOU- BANGLADESH ONLINE UNIVERSITY (সাধারণ
জ্ঞানের তথ্য ভান্ডার).
PRINCIPAL,
PGDHRM TRAINING INSTITUTE (PTI).
Director,
BBC -Bangladesh BCS Coaching.
Principal,
(BSTI) Bangladesh Security Training
Institute.
যোগাযোগের ঠিকানাঃ
|
সহজে সরকারি চাকরি পেতে এবং
যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ১০০% প্রশ্নোত্তর কমন পেতে এর উপর ক্লিক করুন।
No comments:
Post a Comment