এটিএম বুথে কর্তব্যরত গার্ডদের দায়িত্ব ও কর্তব্যাবলী
ATM মেশিন পরিচিতি ও কার্যপ্রণালী
প্রাথমিক আলোচনাঃ
আজকাল সবকিছুই আধুনিক হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আধুনিক হয়ে গিয়েছে ব্যাংকিং ব্যবস্থাও। আগের মতো এখন আর টাকা তোলার জন্য ঘন্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। প্রায় সব ব্যাংকেরই রয়েছে এটিএম (ATM) ব্যবস্থা। নির্ধারিত কার্ড এটিএম মেশিনে প্রবেশ করিয়ে টাকার অংক বলে দিলেই বের হয়ে আসে প্রয়োজনীয় টাকা। কমবেশী আমরা সবাই এই এটিএম মেশিনের সাথে পরিচিত, কিন্তু এটা আসলে কাজ করে কিভাবে?
এটিএম (ATM)-এর পুরো নাম হল Automated Teller Machine। এছাড়াও এটি অনেক দেশে Automated Banking Machine, Cash Machine, Cashpoint, Cashline প্রভৃতি নামেও পরিচিত।
ব্যাংক সাধারণত ১০.০০ টা থেকে ৪.০০ টা পর্যন্তই খোলা থাকে, অর্থাৎ লেনদেনের কাজ এই সময়ের ভেতরেই সারতে হবে। কিন্তু হঠাৎ করে যদি কারও রাত ১০.০০ টায় কিংবা অন্য এমন সময়ে টাকার দরকার পড়ে যখন ব্যাংক খোলা নেই, তখন কি হবে? এই অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই ১৯৬১ সালে নিউ ইয়র্ক শহরের City Bank of New York-এ প্রথম এটিএম মেশিন স্থাপিত হয়। কিন্তু সাধারণ মানুষ তখনও প্রযুক্তির ওপর এতটা নির্ভরশীল না থাকায় খুব কম মানুষই এই এটিএম মেশিন ব্যবহার করেছেন। তাই কয়েক মাস পরেই বন্ধ করে দেয়া হয় এটিএম ব্যবস্থা।
এরপর ১৯৬৭ সালে লন্ডন শহরের Barclays Bank-এ আবার স্থাপন করা হয় এটিএম মেশিন। এরপর থেকে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে এই প্রযুক্তি। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই টাকার মেশিনকে। ইউরোপ ও আমেরিকাতে এটিএম মেশিন অনেক আগে থেকেই চালু থাকলেও বাংলাদেশে এটিএম ব্যবস্থা চালু হয়েছে খুব বেশী দিন হয়নি। কিন্তু তবুও এই অল্প সময়ের মধ্যেই সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে এটিএম ব্যবস্থা এবং এখন প্রায় সব ব্যাংকেই রয়েছে এটিএম সুবিধা।
এটিএম সুবিধা ভোগ করার জন্য ব্যাংক তার ক্লায়েন্টদের একটি বিশেষ কার্ড দিয়ে থাকে। ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, এটিএম কার্ড প্রভৃতি কার্ড দিয়ে এটিএম সুবিধা নেয়া যায়। এটিএম মেশিনগুলো Interbank Network-এর সাহায্যে নির্ধারিত ব্যাংকের সাথে যুক্ত থাকে। যার ফলে এটিএম কার্ড প্রবেশ করালে ক্লায়েন্টের একাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য সহজেই চলে আসে এটিএম মেশিনে। প্রত্যেক ক্লায়েন্টের কাছে তাঁর জন্য নির্ধারিত বিশেষ একটি PIN নম্বর থাকে। কার্ড প্রবেশ করানোর পর এটিএম মেশিনে সেই নম্বরটি টাইপ করতে হয়। এই ব্যবস্থার কারণে কারও কার্ড হারিয়ে গেলে অন্য কেউ সেই কার্ড ব্যবহার করে টাকা তুলতে পারবে না। কারণ PIN নম্বর প্রবেশ না করালে এটিএম মেশিন থেকে কোনও টাকা তোলা যাবে না। সঠিক PIN নম্বর প্রবেশ করানোর পর প্রয়োজনীয় টাকার অংক টাইপ করতে হয়। ঐ পরিমাণ টাকা যদি ক্লায়েন্টের একাউন্টে থাকে, তাহলে এটিএম মেশিন মুহূর্তেই ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোটে ঐ অংকের টাকা বের করে দেয়।
একটি এটিএম মেশিন সাধারণত নিম্নোক্ত অংশগুলো নিয়ে তৈরি হয়ঃ
CPU- এটিএম মেশিনের মূল তথ্য সংগ্রহকারী অংশ
Magnetic Card Reader- এর সাহায্যে প্রবেশকৃত কার্ডটি ক্লায়েন্টের জন্য নির্ধারিত সঠিক কার্ড কিনা, তা নির্ণয় করা হয়।
PIN PAD- অনেকটা ক্যালকুলেটরের কি-প্যাডের মতো দেখতে PIN Pad-এ টাইপ করে PIN নম্বর দিতে হয়।
Display- তথ্য প্রদর্শন করার জন্য মনিটর।
Function Key Buttons- মনিটরের পাশে স্থাপিত কিছু বাটন যেগুলোতে চাপ দিয়ে ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিভিন্ন অপশন বেছে নেয়া যায়।
Record Printer- লেনদেনের তথ্য সংরক্ষণের জন্য এর সাহায্যে ক্লায়েন্টকে লেনদেনের তথ্যসম্বলিত কাগজ দেয়া হয়।
Vault- এটিএম মেশিনের যে সংরক্ষিত অংশে টাকা রাখা হয়।
এছাড়া বেশ কিছু সেন্সর ও ইনডিকেটর থাকে যা ক্লায়েন্টকে এটিএম ব্যবস্থা বুঝতে সাহায্য করে।
এ টি এম বুথে কর্তব্যরত গার্ডদের দায়িত্ব ও কর্তব্যাবলী
(১) ডিউটি শুরুর ১৫ মিনিট পূর্বে নিরাপত্তা প্রহরীকে কোম্পানির নির্ধারিত ইউনিফরম (যেমন: শার্ট, প্যান্ট, বুট, ক্যাপ, বেল্ট, আইডি কার্ড ইত্যাদি) পরিধান করে পোস্টে উপস্থিত হতে হবে এবং পূর্বের দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরীর নিকট হতে দায়িত্ব সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সকল রেজিস্টার এবং অন্যান্য দ্রব্যাদি বুঝে নিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে হবে। নতুন কোন ধরনের আদেশ অথবা যন্ত্রাংশ (স্কিমিং মেশিন/সিসি টিভি ক্যামেরা) বসানো কিংবা সংযোজন হয়েছে কিনা তা বুঝে নিতে হবে।
(২) নিরাপত্তা প্রহরী তার ডিউটি চলাকালীন সময়ে এটিএম বুথের সামনে দায়িত্ব পালন করবে। এটিএম বুথের ভিতরে বসে থাকা, আড্ডা মারা, ঘুমানো এবং কোন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ হতে বিরত থাকতে হবে।
(৩) নিরাপত্তা প্রহরী সর্বদা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ইউনিফর্ম পরিধান করবে এবং কোম্পানী কর্তৃক প্রদানকৃত আইডি কার্ড ব্যবহার করবে যেনো তা সকলের সামনে দৃশ্যমান হয় ।
(৪) সম্মানিত গ্রাহক যখন এটিএম এর ভিতরে প্রবেশ করবেন তখন দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরী অবশ্যই সম্মানিত গ্রাহককে সম্মানের সহিত সালাম প্রদান করবে।
(৫) যদি কোনো বিদেশী নাগরিক এটিএম বুথে প্রবেশ করেন , সে ক্ষেত্রে দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরী ০৫ (পাঁচ) মিনিট পরে উক্ত গ্রাহক কি করছেন তাহা বাহির থেকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন, যদি কোনো গ্রাহক ০৫ (পাঁচ) মিনিট এর বেশি সময় নেন, সেক্ষেত্রে দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরী বিনয়ের সহিত উক্ত সম্মানিত গ্রাহককে জিজ্ঞেস করবেন যে, স্যার আপনার কোনো সহযোগিতা লাগবে কি ?
(৬) দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরী কোন ধরনের অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন- ব্যক্তিগত পোশাক/ইউনিফর্ম, কাঁথা, বালিশ, বুট ইত্যাদি এটিএম বুথের ভিতরে রাখতে পারবে না। অনেক গার্ড রাতে এটিএম বুথের ভিতরে বিছানা পত্র বিছিয়ে ঘুমিয়ে থাকে। মনে রাখতে হবে, এটিএম বুথের ভিতরে ও বাহিরে কোনোক্রমেই ঘুমানো যাবে না।
সাম্প্রতিক অনেক ঘটনা যেমন দুর্বৃত্তরা হঠাৎ এটিএম বুথে প্রবেশ করে গার্ডকে হাত পা বেঁধে বা অনেক সময় হত্যা করে ভোল্ট ভেঙ্গে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বেশীর ভাগ ঘটনা ঘটেছে গার্ড যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল। এ জন্যে রাত্রীকালীন ডিউটিরত অবস্থায় সর্বদা চোখ কান খোলা রেখে ও অতি সতর্কতার সহিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে।
(৭) এটিএম বুথের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করতে আসা কর্মকর্তা/টেকনিশিয়ানদের নাম, পদবী, মোবাইল নম্বর, প্রতিষ্ঠানের নাম ও স্বাক্ষরসহ সকল ধরনের তথ্যাদি সংরক্ষিত রেজিস্টার বইয়ে লিপিবদ্ধ করবে/করাবে এবং কার্যকালীন সময়ে নিরাপত্তা প্রহরী এটিএম বুথের ভিতরে অবশ্যই অবস্থান করবে। সে সময়ে তাদের হাতের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে তারা গোপনীয় কোনো ডিভাইস এটিএম বুথের ভিতরে সংযোজন করে কিনা।
(৮) দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরী কোন অবস্থাতেই একাধিক গ্রাহককে একসঙ্গে এটিএম বুথের ভিতরে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখবে।
(৯) পরবর্তী নিরাপত্তা প্রহরী ডিউটিতে না আসা পর্যন্ত কোনক্রমেই দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরী তার ডিউটি পোস্ট ছেড়ে চলে যেতে পারবে না।
(১০) সম্মানিত গ্রাহক এটিএম বুথে প্রবেশের সময় হেলমেট অথবা কাপড়, মাফলার বা অন্য কোনো কিছু দিয়ে চোখ মুখ ঢাকা অবস্থায় প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। এ ধরণের কিছু পরিলক্ষিত হলে দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরী বিনয়ের সহিত সম্মানিত গ্রাহককে তা খুলে এটিএম বুথ এর ভিতরে প্রবেশ করার জন্য অনুরোধ করবে।
(১১) গ্রাহক যখন লেনদেন করবেন তখন সিকিউরিটি গার্ড গ্রাহকের সামনে থাকবে না ।
(১২) কোন গ্রাহক যদি লেনদেনের অধিক সময় (৫ মিনিটের বেশি) গ্রহণ করে তখন সিকিউরিটি গার্ড গ্রাহকের অনুমতি নিয়ে বুথের ভিতরে প্রবেশ করবে এবং কোনো যন্ত্রাংশ বা ডিভাইস সংযোজন করেছে বা করছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবে।
(১৩) সম্মানিত গ্রাহক এটিএম বুথ হতে টাকা উত্তোলন শেষে বাহির হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যরত নিরাপত্তা প্রহরী বুথের ভিতরে প্রবেশ করবে এবং এটিএম মেশিনে সন্দেহজনক কোন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সংযোজন করেছেন কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে সুনিশ্চিত করবে।
(১৪) দায়িত্বরত ফিল্ড/এরিয়া সুপারভাইজারগণ সশরীরে প্রতি এক ঘন্টা পর পর সংশ্লিষ্ট এটিএম বুথ পরিদর্শন করবেন অথবা নিরাপত্তা প্রহরীকে ফোন কলের মাধ্যমে ডিউটি সুনিশ্চিত করবেন।
(১৫) ডিউটি চলাকালীন সিকিউরিটি গার্ড কোন ব্যক্তির সাথে দীর্ঘ সময় কথা বলবে না।
(১৬) কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ড সকল প্রয়োজনীয় জরুরী মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ করবে ।
(১৭) সিকিউরিটি গার্ড একই সময়ে দুইটি এসি চালাবে না। যেকোনো একটি চালাবে। তবে দুই ঘন্টা পর পর এসি পরিবর্তন করে চালাবে ।
(১৮) রাত্রীকালীন জন শূণ্য অবস্থায় এটিএম বুথের মধ্যে কোনো অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, এটিএম বুথের ভিতর ও বাহিরে সার্বক্ষণিক সিসি টিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সব কিছু মনিটরিং করা হচ্ছে। এখানে যা কিছু হচ্ছে সবই ভিডিও হিসেবে কেন্দ্রিয় মনিটরিং রুমে রক্ষিত কম্পিউটারে তা সেভ হয়ে থাকছে।
(১৯) কোনো ক্রমেই কোনো গার্ড এটিএম বুথ ছেড়ে বাহিরে যাবে না। পোস্ট ভিজিট করতে গেলে দেখা যায়, এটিএম বুথের নিকট গার্ডকে পাওয়া যায় না। অনেক সময় দেখা যায়, গার্ড পান , বিড়ি, সিগারেট বা চা পান করতে এটিএম বুথ ছেড়ে অনেক দূরে চলে যায়। ডিউটি চলাকালীন এরুপ কার্যকলাপ করা যাবে না। কোনো ক্রমেই এটিএম বুথের সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানা যাবে না, কখনো সিগারেট টেনে এটিএম বুথের ভিতরে প্রবেশ করবে না। তাই ডিউটি চলাকালীন পান, বিড়ি, সিগারেট টানা থেকে বিরত থাকতে হবে।
(২০) কর্তব্যরত অবস্থায় সিকিউরিটি গার্ড এটিএম বুথ এর ভিতরে অথবা বাহিরে পান -বিড়ি -সিগারেট, ঝাল-মুড়ি ইত্যাদি বিক্রি করতে পারবে না বা অন্য যে কোনো ব্যবসা বা কাজে নিজেকে লিপ্ত রাখতে পারবে না।
(২১) এটিএম বুথের সামনে অথবা ভিতরে কাউকে আড্ডা দিতে দেয়া যাবে না এবং গার্ড নিজেও কারো সাথে আড্ডা দিবে না, কারো সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়বে না, কারো সাথে খোশ গল্পে মত্ত হবে না।
(২২) গ্রাহক কোনো অর্থ বা এটিএম কার্ড ফেলে গেলে সম্মানের
সহিত তাকে ফেরত দিতে হবে ।
(২৩) কোনো গ্রাহক কোনো বকশিস দিতে চাইলে তা গ্রহণ করা যাবে না। বিভিন্ন পর্ব যেমন ইদউল ফিতর, ইদউল আজহা ও পূজার সময় সম্মানিত গ্রাহক টাকা উত্তোলন করে বের হলে অনেক নিরাপত্তা প্রহরী নিজ থেকে বকশিস চেয়ে থাকে। সম্মানিত গ্রাহক এর সাথে এরুপ ব্যবহার করা যাবে না। অনেক সময় এটিএম বুথ সংশ্লিষ্ট বা ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এটিএম বুথে টাকা উত্তোলন করে বরে হলে তাদেরকে চিনতে না পারায় অনেক গার্ড বকশিস চেয়ে থাকে। তাদের সাথে এরুপ আচরন করায় উক্ত কর্মকর্তা গার্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে থাকে।
(২৪) স্থানীয় থানা, পুলিশ ফাঁড়ি ও RAB এর মোবাইল নম্বর নিজের মোবাইলে এবং রেজিস্টারে লিখে রাখতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনে ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে।
(২৫) এটিএম বুথের গোপনীয় কোনো তথ্য বাহিরে প্রকাশ করা যাবে না।
(২৬) কর্তব্যরত গার্ড সার্বক্ষণিক এটিএম এর ভিতর ও বাহিরের স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবে।
(২৭) কর্তব্যরত
গার্ড এটিএম বুথের ভিতরে মোবাইল চার্জ দিতে পারবে না। মোবাইল চার্জার বুথের ভিতরে রাখতে পারবে না। বুথের ভিতরে মোবাইল চার্জ দেয়া কিংবা বুথের ভিতরে মোবাইল চার্জার রাখা দন্ডনীয় অপরাধ। মোবাইল বা ক্যামেরা দিয়ে বুথের ভিতরের কোনো ছবি তোলা বা ভিডিও করা যাবে না। অন্য কাউকেও করতে দেয়া যাবে না।
(২৮) কর্তব্যরত গার্ড করোনাকালীন কোনো ক্রমেই সম্মানিত গ্রাহককে এটিএম বুথ এর হাতল ধরে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে গার্ড নিজেেএটিএম বুথ এর হাতল ধরে গেইট খুলে সম্মানিত গ্রাহককে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার জন্যে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে।
(২৯) করোনাকালীন সম্মানিত গ্রাহক এটিএম বুথ এ প্রবেশ করে টাকা উত্তোলন শেষে বাহির হওয়ার পর কর্তব্যরত গার্ড ভিতরে প্রবেশ করবে এবং রক্ষিত জীবাণুনাশক দিয়ে এটিএম মেশিনের কিপ্যাড জীবানুমুক্ত করবে।
(৩০) করোনাকালীন সম্মানিত গ্রাহক এটিএম বুথ এর ভিতরে প্রবেশ করার সময়ে কর্তব্যরত গার্ড সম্মানিত গ্রাহককে বিনয়ের সহিত মুখের মাস্ক খুলে টাকা উত্তোলনের জন্যে অনুরোধ করবে।
(৩১) সাপ্তাহিক ছুটি ও অন্যান্য সরকারি ছুটি বা বন্ধের দিনগুলোতে সকল ব্যাংক ও অফিস আদালত বন্ধ থাকার কারণে কর্তব্যরত গার্ড আরো অধিক সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনোক্রমেই এটিএম বুথ ছেড়ে এদিক ওদিক যাওয়া যাবে না।
(৩২) সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এর কর্মকর্তাগণ এটিএম মেশিন এ টাকা লোড করার জন্যে এটিএম এর ভিতরে প্রবেশ করলে দায়িত্বরত গার্ড বাহির থেকে এটিএম বুথ এর শাটার ৪/৩ নামিয়ে দিয়ে উক্ত এটিএম বুথ এর সার্বিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে।
(৩৩) ফাঁকা সময়ে এটিএম বুথের সামনে দিয়ে কেহ মোটর সাইকেল বা কোনো মাইক্রোবাস কিংবা দলবদ্ধ কোনো চক্র অযথা ঘুরাফেরা করতে দেখলে তা সন্দেহের আওতায় আনতে হবে এবং বিষয়টি দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
এটিএম কার্ড ব্যবহারে যেসব সতর্কতা মেনে চলা উচিত
বর্তমান এই প্রযুক্তি নির্ভর যুগে আমরা প্রায় সবাই এটিএম কার্ড ব্যবহার করি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতে বাংলাদেশেও এটিএম কার্ডের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়। পাশাপাশি কার্ডের গোপন পিন চুরি করে সেখান থেকে তথ্য হাতিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটছে অহরহ। তাই এটিএম কার্ড ব্যবহারে আমাদের অবশ্যই কিছু সতর্কতা মেনে চলা উচিত।
(১) অনেকেই এটিএম বুথ থেকে তাড়াতাড়ি কাজ মিটিয়ে বেরিয়ে যান। এটিএম বুথে ট্রানজাকশন হয়ে যাওয়ার পর সবসময় ক্যানসেল বাটন প্রেস করে ট্রানজাকশন শেষ করা উচিত। এর মাধ্যমে আপনি একটা বিষয়ে নিশ্চিন্ত থাকবেন যে, অন্য কেউ আপনার অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করতে পারবে না।
(২) মেশিনের ডিসপ্লেতে অনেক সময় নকল ফ্রন্ট কভার যুক্ত করে রাখে প্রতারকরা। অনেকের পক্ষে তা ধরা সম্ভব হয় না। ফ্রন্ট কভারে ভুল বার্তা দিয়ে গ্রাহকদের পিন এবং টাকা চুরি করে থাকে প্রতারক চক্র। তাই এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত।
(৩) এটিএম বুথের কার্ড স্লটটি কিছুটা ফাঁপা অথবা ঠিক অবস্থানে আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নিন। অনেক সময় আসল কার্ড স্লটের ওপরে বিকল্প কার্ড রিডার স্লট যুক্ত করে ডেবিট কার্ডের যাবতীয় তথ্য চুরি করা হয়। অনেক সময় কার্ড স্লটে ‘লেবানিজ লুপ’ থাকে। লেবানিজ লুপ হল হুলসমেত ছোট্ট প্লাস্টিক ডিভাইস যা কার্ডটিকে মেশিনে আটকে রাখে।
(৪) এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার সময় আপনি নিশ্চয়ই একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছেন যে, অনেকেই এটিএম মেশিনের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। এর কারণ, তারা আপনার আঙ্গুলের চলাচল লক্ষ্য করেন। আপনি কী পাসওয়ার্ড দিচ্ছেন, তা আপনার আঙ্গুলের চলাচলের মাধ্যমে জেনে নেয়ার চেষ্টা করেন। তাই ভুল করেও এই ভুলটা করবেন না। পাসওয়ার্ড দেয়ার সময় সবসময় আপনার শরীর দিয়ে মেশিনটি আড়াল করে রাখবেন।
(৫) অনেকসময় আসল কিপ্যাডের ওপরে ভুয়া কিপ্যাড লাগানো থাকে। টাচ করার সময় যদি কিপ্যাড স্পঞ্জের মতো বা ঢিলেঢালা মনে হয় তবে পিন দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
(৬) দু’একদিন অন্তর অন্তর মিনি স্টেটমেন্ট ব্যালেন্স চেক করা উচিত। এর মাধ্যমে আপনার একটা ধারণা থাকবে যে, কত টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে আছে, আর কত টাকা আপনি তুলেছেন। তাছাড়া, কখনও যদি আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার অজ্ঞাতে টাকা তোলা হয়ে থাকে তার ট্রানজাকশন আপনি জানতে পারবেন।
(৭) মেশিনে অনেক সময় ক্ষুদ্র ক্যামেরা লুকিয়ে রাখা হয়। আবার এটিএম বুথের ছাদেও ক্যামেরা লুকিয়ে রাখা হয়। ক্যামেরার সাহায্যে সহজে পিন চুরি করা যায়। তাই এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত।
মনে রাখতে হবে এক জন আদর্শ নিরাপত্তা প্রহরীর মূল দায়িত্ব¡ হচ্ছে, জান, মাল ও তথ্যের নিরাপত্তার জন্য সর্বদা, সতর্ক ও জাগ্রত থাকা।
Security বা নিরাপত্তা কাকে বলে? একজন আদর্শ নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্ব ও কর্তব্যাবলী কি? তা জানতে SECURITY এর উপর ক্লিক করুন। (SECURITY)
Written By
Md. Izabul Alam
Consultant & Specialist (Security, Training & Investigation)
Author of Many Security Books.
GENERAL DIRECTOR,
PIS-PRIVATE INVESTIGATION SERVICES.
PRINCIPAL,
(BCTI) BANGLADESH CSE TRAINING INSTITUTE.
PRINCIPAL,
BOU- BANGLADESH ONLINE UNIVERSITY (সাধারণ জ্ঞানের তথ্য ভান্ডার).
PRINCIPAL,
PGDHRM TRAINING INSTITUTE (PTI).
Director,
BBC -Bangladesh BCS Coaching.
Principal,
(BSTI) Bangladesh Security Training Institute.
Contact me if necessary- Md. Izabul Alam Gulshan-2 , Dhaka 01716508708 izabulalam@consultant.com |