রিট পিটিশন কি ?
যেকোন কর্তৃপক্ষ বা নিম্ন আদালতের বিধি বহির্ভুত বেআইনী কর্মকান্ডের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উচ্চ আদালতের একটি আইনী হাতিয়ার হলো রীট পিটিশন।
কোন নাগরীকের মৌলিক অধিকার লংঘন হয়েছে এমন ও প্রচলিত কোন আইনে প্রতিকার নেই এমন দুই'টি অধিক্ষেত্রে রিট আবেদন নেয়া ও ডিরেকশন দেওয়ার ইনহ্যারেন্ট পাওয়ার হাইকোর্টকে আমাদের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে দেয়া আছে। যেমন:
১. সংবিধানে বর্ণিত নাগরীকের মৌলিক অধিকার লংঘিত হয়েছে এমন কোন বিষয়ে মৌলিক অধিকার বলবৎ করার জন্য রীট পিটিশন দায়ের করা যেতে পারে।
২. প্রচলিত কোন আইনে প্রতিকার নেই এমন কোন বিষয়ে সংক্ষুব্দ্ধ কোন ব্যাক্তি প্রতিকার চেয়ে মহামান্যা হাইকোটে রিট পিটিশনে ফরিয়াদ করতে পারে।
পাঁচ ধরনের রীট আপীল বা আবেদনপত্রের বিধান রয়েছে। এগুলো হচ্ছে: ১. তলবীপত্র ২. হেবিয়াস কর্পাস বা কারণ দর্শানোর আবেদনপত্র ৩. ম্যান্ডামাস বা হুকুমনামা ৪. নিষেধাজ্ঞা এবং ৫. গ্রেফতারের বা ডিক্রি জারির পরোয়ানা।
১. তলবীপত্র: তলবীপত্র বলতে কোনো নিম্ন আদালত বা ট্রাইব্যুনালের প্রতিবিধান ব্যবস্থা তদন্তের মাধ্যমে উচ্চ আদালত কর্তৃক সুপারিশ প্রদান বোঝায়। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ বিচারকার্যের বৈধতা বা অন্য যেকোন প্রতিবিধান পরখ করার জন্য যেকোন প্রতিপক্ষ বা আদালতকে, এমনকি ট্রাইব্যুনালে সম্পাদিত বিচারকার্য বা স্থগিত বিচারকার্যের নথিপত্র তলব করতে পারে। বাংলাদেশের
২. হেবিয়াস কর্পাস: হেবিয়াস কর্পাস বলতে সশরীরে বন্দীর প্রদর্শনকে বোঝায়। সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের ২ উপ-অনুচ্ছেদের খ ধারার ১নং উপধারার আওতায় হাইকোর্ট বিভাগ কোনো আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঐ ব্যক্তিকে আইনানুগভাবে বা আইন বহির্ভুতভাবে আটক করা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে আদালতকে সন্তুষ্ট করার জন্য হাইকোর্ট ঐ আটককৃত ব্যক্তিকে আদালতের সামনে সশরীরে হাজির করানোর আদেশ দিয়ে থাকে।
৩. ম্যান্ডামাস: ম্যান্ডামাস বলতে উচ্চ আদালত কর্তৃক নিম্ন আদালতের উপর হুকুমনামাকে বোঝায়। এ জাতীয় রীট আবেদনের মাধ্যমে উচ্চ আদালত যেকোন ব্যক্তি, কর্পোরেশন, নিম্ন আদালত বা সরকারকে কোনো কিছু করতে বা তাতে সু-নির্দিষ্ট ভাবে কোনো কিছু উল্লেখ করার নির্দেশ দিতে পারেন যা ঐ ব্যক্তি, তাদের অফিস-এর অধিকারভুক্ত এবং যা সরকারি দায়িত্ব পালনের মতো।
৪. নিষেধাজ্ঞা: নিষেধাজ্ঞা বলতে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কোনো কিছু করা থেকে বিরত থাকা বোঝায়। অন্য কথায়, রীট আবেদন বলতে উচ্চ আদালত কর্তৃক নিম্ন আদালত, ট্রাইব্যুনাল অথবা প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষকে আইন বহির্ভূত কোনো ক্ষমতা অনুযায়ী কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকা বোঝায়।
৫. গ্রেফতারের বা ডিক্রি জারির: গ্রেফতারের বা ডিক্রি জারির পরোয়ানা বলতে কোনো ধরনের সমন বা ক্ষমতা বোঝায়। এ ধরনের রীট আবেদন অবৈধ দখল অথবা কোনো সরকারি অফিস জবর দখল অথবা তা ভোগ করা অথবা তা অবমুক্ত করার জন্য ইস্যু করা হয়ে থাকে।
(সংগৃহীত)
Md. Izabul Alam
General Director and Consultant-
(Security,Investigation and Training)
Private Investigation Services (PIS)
Gulshan-2, Dhaka.
০১৭১৬৫০৮৭০৮
Email- izabulalam@consultant.com
Nice presentation
ReplyDelete