Sunday, November 10, 2019

গ্রেফতার ও তল্লাশী সংক্রান্ত ধারা


গ্রেফতার ও তল্লাশী সংক্রান্ত ধারা

ফৌজদারী কার্যবিধি
গ্রেফতার ও তল্লাশী সম্পর্কিত ধারাগুলোঃ
১. ধারা ৪৬ গ্রেফতারের পদ্ধতি এবং গ্রেফতারে বাধা প্রদান
২. ধারা ৪৭ যাহাকে গ্রেফতার করা হইবে, তিনি যেই স্থানে প্রবেশ করিয়াছেন, সেই স্থান তল্লাশি-
৩. ধারা ৪৮ যেইস্থানে প্রবেশ করা যাইতেছে না, সেইখানে প্রবেশের পদ্ধতি, দরজা ভাঙ্গিয়া জানানা মহলে প্রবেশ-
৪. ধারা ৪৯ মুক্তিলাভের জন্য দরজা ও জানালা ভাঙ্গিবার ক্ষমতা
৫. ধারা ৫০ প্রয়োজনে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ নিষেধ
৬. ধারা ৫১ আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি
৭. ধারা ৫৪ যখন পুলিশ পরোয়ানা ব্যতীত গ্রেফতার করিতে পারেন
৮. ধারা ৯৬ কখন তল্লাশি পরোয়ানা দেওয়া যাইতে পারে
৯. ধারা ১০০ বেআইনীভাবে আটক ব্যক্তির জন্য তল্লাশি
১০. ধারা ১০১ তল্লাশি পরোয়ানার নির্দেশ প্রভৃতি
১১. ধারা ১০২ আবদ্ধ স্থানের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি তল্লাশি করিতে দিবেন
১২. ধারা ১০৩ সাক্ষীর উপস্থিতিতে তল্লাশি চালাইতে হইবে
 ধারা ৪৬:
গ্রেফতারের পদ্ধতি এবং গ্রেফতারে বাধা প্রদান 
ক) কথা অথবা কার্য দ্বারা হেফাজতে আত্মসমর্পন করা না হইলে পুলিশ অফিসার অথবা গ্রেফতারকারী অপর কোন ব্যক্তি গ্রেফতার করিবার সময় যাহাকে গ্রেফতার করা হইতেছে প্রকৃতপক্ষে তাহার দেহ স্পর্শ বা আটক করিবেন।
খ) এইরূপ ব্যক্তি যদি বলপূর্বক তাহাকে গ্রেফতারের চেষ্টায় বাধা দেয় অথবা গ্রেফতার এড়াইতে চেষ্টা করে, তাহা হইলে উক্ত পুলিশ অফিসার অথবা অপর ব্যক্তি গ্রেফতার কার্যকরী করিবার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কৌশল ব্যবহার করিতে পারিবেন।
গ) এই ধারায় এইরূপ কোন অধিকার দেওয়া হয় নাই, যাহাতে মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদন্ডের শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধে অভিযুক্ত নহে, এইরূপ ব্যক্তির মৃত্যু ঘটাইতে পারেন।
ধারা ৪৭:
 যাহাকে গ্রেফতার করা হইবে, তিনি যেই স্থানে প্রবেশ করিয়াছেন, সেই স্থান তল্লাশি-
গ্রেফতারী পরোয়ানা মোতাবেক কার্যরত ব্যক্তি অথবা গ্রেফতারের অধিকারী পুলিশ অফিসারের যদি বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, যেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হইবে তিনি কোন স্থানে প্রবেশ করিয়াছেন বা কোন স্থানের মধ্যে আছেন, তাহা হইলে উক্ত স্থানে বসবাসকারী বা উক্ত স্থানের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি উপরোক্তরুপে কার্যরত ব্যক্তি বা পুলিম অফিসারের দাবিক্রমে তাহাকে অবাধে উক্ত স্থানে প্রবেশ করিতে দিবেন এবং উক্ত স্থানে তল্লাশির জন্য সকল প্রকার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ-সুবিধা দিবেন।
ধারা ৪৮: যেইস্থানে প্রবেশ করা যাইতেছে না, সেইখানে প্রবেশের পদ্ধতি, দরজা ভাঙ্গিয়া  জানানা মহলে প্রবেশ- 
৪৭ ধারা অনুসারে এইরূপ স্থানে প্রবেশ করা না গেলে, অধিকার ও উদ্দেশ্য জ্ঞাপন এবং যথাযথভাবে প্রবেশের দাবি জানানোর পর যদি অন্যভাবে প্রবেশ করা না যায়, তাহা হইলে পরোয়ানা মোতাবেক কার্যরত ব্যক্তি এবং যেইক্ষেত্রে পরোয়ানা জারি হইতে পারে কিন্তু যাহাকে গ্রেফতার করা হইবে তাহাকে পলায়নের সুযোগ না দিয়া পরোয়ানা সংগ্রহ করা যায় নাম, সেইক্ষেত্রে পুলিশ অফিসারে পক্ষে উক্ত স্থানে প্রবেশ ও তল্লাশি করা এবং প্রবেশের জন্য কোন গৃহ অথবা স্থানের, এইরূপ গৃত অথবা স্থান, যাহাকে গ্রেফতার করা হইতেছে তাহারই হউক বা অপর কোন লোকের হউক, বাহিরে অথবা ভিতরের দরজা ভাঙ্গিয়া ফেলা আইনসঙ্গত হইবে।
তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ স্থান যদি কোন স্ত্রীলোকের (যাহাকে গ্রেফতার করা হইবে তিনি নহেন) প্রকৃত অবস্থানের অন্তুর্ভুক্ত কোন কামরা হয় এবং যিনি সামাজিক রীতিনীতি অনুসারে জনসাধারণের সম্মুখেই আসেন না, তাহা হইলে উক্তরূপ কার্যরত ব্যক্তি অথবা পুলিশ অফিসার উক্ত কামরায় প্রবেশের পূর্বে উক্ত স্ত্রীলোককে জানাইবেন যে, তিনি অবাধে সরিয়া যাইতে পারেন এবং অতঃপর তিনি কামরা ভাঙ্গিয়া তাহাতে প্রবেশ করিতে পারেন।
ধারা ৪৯:
মুক্তিলাভের জন্য দরজা  জানালা ভাঙ্গিবার ক্ষমতা 
গ্রেফতারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি অথবা পুলিশ অফিসার গ্রেফতারের জন্য কোন গৃহ অথবা স্থানে আইনসঙ্গভাবে প্রবেশ করিবার পর তথায় আটকা পড়িলে উক্ত গৃহে অথবা স্থানের কোন বাইরের অথবা ভিতরের দরজা অথবা জানালা ভাঙ্গিয়া বাইির হইতে পারেন।  
ধারা ৫০:
 প্রয়োজনে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ নিষেধ   
পলায়ন প্রতিরোধের জন্য যতটুকু প্রয়োজন, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির উপর অবশ্যই তাহা অপেক্ষা অধিক বলপ্রয়োগ করা যাইবে না।             
ধারা ৫১:
আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি  
যখন পুলিশ অফিসার কোন ব্যক্তিকে এমন পরোয়ানা অনুসারে গ্রেফতার করেন, যাহাতে জামিনের ব্যবস্থা নাই অথবা জামিনের ব্যবস্থা থাকিলেও গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি জামিন সংগ্রহ করিতে পারেন না। যখন কোন ব্যক্তিকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা হয় অথবা কোন সাধারণ নাগরিক যখন পরোয়ানা অনুসারে গ্রেফতার করেন এবং গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে আইনত জামিন দেওয়া যায় না, অথবা সে জামিন সংগ্রহ করিতে অসমর্থ হয়-
তখন গ্রেফতাকারী অফিসার অথবা কোন সাধারণ নাগরিক গ্রেফতার করিলে তিনি গ্রেফতারকৃত  ব্যক্তিকে যাহার নিকট অর্পণ করেন সেই পুলিশ অফিসার তাহার দেহ তল্লাশি করিতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় পরিধেয় বস্ত্র ব্যতীত তাহার নিকট যাহা পাওয়া যাইবে, তাহান নিরাপদে হেফাজতে রাখিতে পারেন।
ধারা ৫৪:
 যখন পুলিশ পরোয়ানা ব্যতীত গ্রেফতার করিতে পারেন 
ক) যেকোন পুলিশ অফিসার ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ অথবা পরোয়ানা ব্যতীত নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণকে গ্রেফতার করিতে
পারেন-
প্রথমত- কোন আমলযোগ্য অপারাধের সহিত জড়িত কোন ব্যক্তি অথবা এইরূপে জড়িত বলিয়া যাহার বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত অভিযোগ করা হইয়াছে অথবা বিশ্বাসযোগ্য খবর পাওয়া গিয়াছে অথবা যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ রহিয়াছে।
দ্বিতীয়ত- আইনসঙ্গত অজুহাত ব্যতীত যাহার নিকট ঘর ভাঙ্গিবার কোন সরঞ্জাম রহিয়াছে সেইরূপ ব্যক্তি (এই আইনসঙ্গত অজুহাত প্রমাণ করিবার দায়িত্ব তাহার)
তৃতীয়ত- এই কার্যবিধি অনুসারে অথবা সরকারের আদেশ দ্বারা যাহাকে অপরাধী বলিয়া ঘোষনা করা হইয়াছে।
চতুর্থত- চোরাই বলিয়া যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ করা যাইতে পারে- এইরূপ মাল যাহার নিকট রহিয়াছে এবং যে এইরূপ মাল সম্পর্কে কোন অপরাধ করিয়াছে বলিয়া যুক্তিসঙ্গভাবে সন্দেহ করা যাইতে পারে।
পঞ্চমত- পুলিশ অফিসারকে তাহার কার্যে বাধা দানকারী ব্যক্তি অথবা যেই ব্যক্তি আইনসঙ্গত হেফাজত হইতে পলায়ন করিয়াছে, অথবা পলায়নের চেষ্টা করে।
ষষ্ঠত- বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বাহিনী হইতে পলায়নকারী বলিয়া তাহাকে যুক্তিসঙ্গভাবে সন্দে করা যাইতে পারে।
সপ্তমত- বাংলাদেশে করা হইলে অপরাধ হিসেবে শাস্তিযোগ্য হইত। বাংলাদেশের বাইরেকৃত এইরূপ কোন কার্যের সহিত জড়িত ব্যক্তি অথবা এইরূপ জড়ি বলিয়া যাহার বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত অভিযোগ করা হইয়াছে অথবা বিশ্বাসযোগ্য খবর পাওয়া গিয়াছে অথবা যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ রহিয়াছে এবং যাহার জন্য সে প্রত্যর্পন- সম্পর্কিত কোন
আইন অথবা ১৮৮১ সালের পলাতক অপরাধিী আইন অনুসারে অথবা অন্য কোনভাবে বাংলাদেশে গ্রেফতার হইতে অথবা হেফাজতে আটক রাখিতে বাধ্য।
অষ্টমত- কোন মুক্তিপ্রাপ্ত আসামী যে ৫৬৫ ধারায় (৩) উপধারা অনুসারে নিয়ম লংঘন করে।
নবমত- যাহাকে গ্রেফতারের জন্য অপর কোন পুলিশ অফিসারের নিকট হইতে অনুরোধপত্র পাওয়া গিয়াছে যদি যাহাকে গ্রেফতার করা হইবে তাহার এবং যেই অপরাধ অথবা অন্য যেই কারণে গ্রেফতার করা হইবে সেই সম্পর্কে উক্ত পত্রে সুস্টষ্ট তথ্য থাকে এবং তাহা হইতে প্রতিয়মান হয় যে, যিনি অনুরোধ প্রেরণ করিয়াছেন। সেই অফিসার উক্ত ব্যক্তিকে আইনসঙ্গভাবে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করিতে পারেন।
ধারা ৯৬:
 কখন তল্লাশি পরোয়ানা দেওয়া যাইতে পারে   
ক) যখন কোন আদালতের এইরূপ বিশ্বাস করিবার করাণে ঘটে যে, যেই ব্যক্তির উপর ১৪ ধারা অনুসারে কোন সমন বা আদেশ অথবা ৯৫ ধারায় (১) উপধারা অনুসারে কোন  রিকুইজিশন প্রেরণ করা হইয়াছে বা হইতে পারে, সেই ব্যক্তি সমন বা রিজুইজিশনে বর্ণিত দলিল বা বস্তু দাখিল করিবেন না অথবা
যখন এইরূপ দলিল বা বস্তু কোন ব্যক্তির দখলে আছে  বলিয়া আদালতের জানা নাই অথবা
যখন আদালত মনে করে যে, সাধারণ তল্লাশি বা পরিদর্শন দ্বার এই কার্ডবিধি অনুসারে পরিচালিত কোন তদন্ত, বিচার বা অন্য কোন কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে সাধিত হইবে।
তখন আদালত তল্লাশি পরোয়ানা প্রদান করিতে পারেন এবং যে ব্যক্তির প্রতি এই পরোয়ানা নির্দেশিত হইবে তিনি পরোয়ানা ও অতঃপর বর্ণিত বিধান অনুসারে তল্লাশি বা পরিবর্ধন করিতে পারিবেন।
খ) এই আইনে বর্ণিত কোন বিধান জেলা ম্যাজিস্ট্যাটের বা চীফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট ব্যতীত অপর কোন ম্যাজিস্ট্রেটকে ডাক বা তার কর্তৃপক্ষের হেফাজতে রক্ষিত কোন দলিল, পার্সেল বা অন্য কোন বস্তু তল্লাশির জন্য পরোয়ানা মঞ্জুর করিবার কর্তৃত্ব দিবে না।
ধারা ১০০:
 বেআইনীভাবে আটক ব্যক্তির জন্য তল্লাশি 
যখন কোন মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ ঘটে যে, কোন ব্যক্তিকে এমন পরিস্থিতিতে আটক রাখা হইয়াছে যাহাতে আটক রাখা অপরাধে পরিণত হয়। তখন তিনি তল্লাশি পরোয়ানা প্রদান করিতে পারেন এবং যাহার প্রতি পরোয়ানা নির্দেশিত হইবে, তিনি পরোয়ানা অনুসারে উক্ত আটক ব্যক্তির জন্য তল্লাশি করিতে পারিবেন এবং উক্ত ব্যক্তিকে যদি পাওয়া যায়, তাহা হইলে অবিলম্বে তাহাকে কোন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হাজির করিতে হইবে, এবং তিনি ঘটনার পরিস্থিতি অনুসারে উপযুক্ত আদেশ দিবেন।
ধারা ১০১:
 তল্লাশি পরোয়ানার নির্দেশ প্রভৃতি 
৪৩, ৭৫, ৭৭, ৭৯, ৮২, ৮৩  ও ৮৪ ধারার বিধানসমূহ যথাসম্ভব ৯৬, ৯৮, ৯৯-ক ও ১০০ ধারা অনুসারে প্রদত্ত তল্লাশি পরোয়ানার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।
ধারা ১০২:
 আবদ্ধ স্থানের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি তল্লাশি করিতে দিবেন 
ক) এই অধ্যায় অনুসারে তল্লাশি বা পরির্দশনযোগ্য কোন স্থান যদি বন্ধ থাকে তাহা হইলে তথায় বসবাসকারী বা উক্ত স্থানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, পরোয়ানা কার্যকারী অফিসার বা অন্য কোন ব্যক্তি দাবি করিলে ও পরোয়ানা দেখাইলে তাহাকে অবাধে তথায় প্রবেশ করিতে দিবেন ও তল্লাশির সকল প্রকার যুক্তিসঙ্গত সুবিধা দিবেন।
খ) যদি উক্ত স্থানে প্রবেশ করা না যায়, তাহা হইলে উক্ত অফিসার বা পরোয়ানা প্রয়োগকারী অন্য কোন ব্যক্তি ৪৮ ধারায় বর্ণিত পদ্ধতি অনুসারে অগ্রসর হইতে পারেন।
গ) যে বস্তু সম্পর্কে তল্লাশি হওয়া উচিত, উক্ত স্থানে বা স্থানের নিকট কোন ব্যক্তি উক্ত বস্তু তাহার দেহে লুকাইয়া রাখিতেছে বলিয়া যদি যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ করা যায়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির দেহ তল্লামি করা যাইতে পারে। উক্ত ব্যক্তি স্ত্রীলোক হইলে ৫২ ধারার নির্দেশাবলী অনুসরণ করিতে হইবে।
ধারা ১০৩:
 সাক্ষীর উপস্থিতিতে তল্লাশি চালাইতে হইবে  
ক) এই অধ্যায় অনুসারে তল্লাশি করিবার পূর্বে তল্লাশি করিতে উদ্যত অফিসার বা অন্য কোন ব্যক্তি, যেইস্থানে তল্লামি করা হইবে সেই এলাকার দুইজন বা ততোধিক সম্মানিত অধিবাসীকে তল্লাশিতে হাজির থাকিতে ও উহার সাক্ষী হইতে আহ্বান জানাইবেন এবং এইরূপ করিবার জন্য তাহাদিগকে বা তাহাদের যেকোন একজনের প্রতি লিখিত আদেশ দিতে পারিবেন।
খ) তাহাদের উপস্থিতিতে তল্লাশি করিতে হইবে এবং উক্ত অফিসার বা অন্য ব্যক্তি তল্লাশির সময় আটক সমস্ত জিনিস ও যে যে স্থানে সেইগুলি পাওয়া গিয়াছে উহার একটি তালিকা প্রস্তুত করিবেন এবং উক্ত সাক্ষীগণ তালিকায় দস্তখত করিবেন। তবে আদালত যদি বিশেষভাবে সমন দিয় তলব না করেন, তাহা হইলে এই ধারা অনুসারে পরিচালিত তল্লাশির কোন সাক্ষীকে উক্ত তল্লাশির সাক্ষী হিসাবে আদালতে হাজির হইতে নির্দেশ দেওয়া যাইবে না।
যেই স্থানে তল্লাশি করা হয় তথায় উহার বাসিন্দা উপস্থিত থাকিতে পারেন-
গ) তল্লাশিকৃত স্থানের দখলকারী ব্যক্তি অথবা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে তল্লাশি সময় হাজির থাকিবার অনুমতি দিতে হইবে এবং উক্ত দখলকারী ব্যক্তি বা তাহার প্রতিনিধি অনুরোধ করিলে তাহাকে এই ধারা অনুসারে প্রণীত ও উপরোক্ত সাক্ষীগণের স্বাক্ষরিত তালিকার একটি নকল দিতে হইবে।
ঘ) যখন ১০২ ধারার (৩) উপধারা অনুসারে কোন ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করা হইবে, তখন যেই সকল জিনিসের দখল গ্রহণ করা হইল উহার একটি তালিকা প্রস্তুত করিতে হইবে এবং উক্ত ব্যক্তি অনুরোধ করিলে তাহাকে উহার একটি নকল দিতে হইবে।
ঙ) লিখিত আদেশ দ্বারা আহ্বান জানানো সত্ত্বেও যে ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত এই ধারা অনুসারে পরিচালিত কোন তল্লাশিতে হাজির হইতে ও সাক্ষী হইতে অস্বীকার বা অবহেলা করেন, তিনি দন্ডবিধির ১৮৭ ধারায় বর্ণিত অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।
 সংগৃহীত:
মো: ইজাবুল আলম
মহাপরিচালক
প্রাইভেট ইনভেস্টিগেশন সার্ভিসেস (PIS)



Friday, November 1, 2019

সাংবাদিক কিভাবে হওয়া যায়?


সাংবাদিক কিভাবে হওয়া যায়?
সাংবাদিকতা হল বিভিন্ন ঘটনাবলী, বিষয়, ধারণা, ও মানুষ সম্পর্কিত প্রতিবেদন তৈরি ও পরিবেশন, যা উক্ত দিনের প্রধান সংবাদ এবং তা সমাজে প্রভাব বিস্তার করে। এই পেশায় শব্দটি দিয়ে তথ্য সংগ্রহের কৌশল ও সাহিত্যিক উপায় অবলম্বনকে বোঝায়। মুদ্রিত, টেলিভিশন, বেতার, ইন্টারনেট, এবং পূর্বে ব্যবহৃত নিউজরিল সংবাদ মাধ্যমের অন্তর্গত।
সাংবাদিকতার যথোপযুক্ত নিয়মের ধারণা ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। কিছু দেশে, সংবাদ মাধ্যমে সরকারি হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রিত হয় এবং পুরোপুরি স্বাধীন সত্তা নয়। অন্যান্য দেশে, সংবাদ মাধ্যম সরকার থেকে স্বাধীন কিন্তু লাভ-লোকসান সাংবিধানিক নিরাপত্তার আওতায় থাকে। স্বাধীন ও প্রতিযোগিতামূলক সাংবাদিকতার মাধ্যমে সংগ্রহ করার মুক্ত উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে প্রবেশাধিকার জনগণকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে সাহায্য করে।
এক নজরে একজন সাংবাদিক
সাধারণ পদবী: সাংবাদিক
বিভাগ: গণমাধ্যম
প্রতিষ্ঠানের ধরন: সরকারি, বেসরকারি, ফ্রিল্যান্সিং
ক্যারিয়ারের ধরন: ফুল-টাইম, পার্ট-টাইম
লেভেল: এন্ট্রি, মিড
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য অভিজ্ঞতা সীমা: কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য গড় বেতন: ৳২০,০০০ – কাজ, প্রতিষ্ঠান ও অভিজ্ঞতাসাপেক্ষ
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য বয়স: কাজসাপেক্ষ
মূল স্কিল: ভাষাগত দক্ষতা, তথ্য অনুসন্ধানে দক্ষতা, উপস্থাপনার দক্ষতা, যোগাযোগের দক্ষতা
বিশেষ স্কিল: বিশ্লেষণী ক্ষমতা, সৃজনশীলতা
সাংবাদিকের পেশা সম্পর্কিত প্রশ্ন
·   একজন সাংবাদিক কোথায় কাজ করেন?
·    একজন সাংবাদিক কী ধরনের কাজ করেন?
·    একজন সাংবাদিকের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?
·    একজন সাংবাদিকের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?
·    কোথায় পড়বেন সাংবাদিকতা?
·    একজন সাংবাদিকের মাসিক আয় কেমন?
·     একজন সাংবাদিকের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?
একজন সাংবাদিক কোথায় কাজ করেন?
·   গণমাধ্যমঃ সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, রেডিও, টেলিভিশন, সরকারি বার্তা বাতায়ন বিভাগ, অনলাইন নিউজ পোর্টাল
·    বিজ্ঞাপনী সংস্থা
·    প্রকাশনা সংস্থা
·    গবেষণা প্রতিষ্ঠান
প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়াঃ বর্তমানে আমাদের দেশে বাংলা ও ইংরেজি মিলিয়ে প্রায় ৩২টি দৈনিক খবরের কাগজ ও ৪টি স্বীকৃত অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রতিদিন প্রকাশিত হচ্ছে। এগুলোতে সাংবাদিকতা করার বড় সুযোগ রয়েছে।
নিউজ এজেন্সির মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা ও বেসরকারিভাবে পরিচালিত ইউনাইটেড নিউজ এজেন্সিতে আপনি সম্পাদক, উপ-সম্পাদক বা কলাম লেখকের কাজ পেতে পারেন।
টিভি ও রেডিওঃ সরকারি ৩টি ও বেসরকারি প্রায় ২২টি টিভি চ্যানেল বাংলাদেশে সম্প্রচারিত হচ্ছে। সেখানে আলোকচিত্রী, প্রতিবেদক, উপস্থাপক, সম্পাদক, প্রযোজক, বার্তাকক্ষ নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজের ক্ষেত্র রয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বেতার ছাড়াও বর্তমানে বেসরকারি খাতে মোট ২৮টি এফ এম রেডিওকে লাইসেন্স ও ফ্রিকুয়েন্সি দেয়া হয়েছে। এগুলোতে মূলধারার সাংবাদিকতার পাশাপাশি সংবাদ পাঠক, উপস্থাপক, সম্পাদক, প্রতিবেদকসহ বহু পদে ইতোমধ্যে অনেকেই কাজ করছেন।
অন্যান্যঃ সরকারি ও বেসরকারি বহু কার্যালয়ে গণযোগাযোগ কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা মুদ্রণ, পরিস্ফুটন, বিপণন ও যোগাযোগের কাজ করে থাকেন। এছাড়া বিজ্ঞাপনী সংস্থা ও চলচ্চিত্র বিভাগেও সাংবাদিকদের কাজের সুযোগ আছে।
অনেকে নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ না করে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন।
একজন সাংবাদিক কী ধরনের কাজ করেন?
প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী একজন সাংবাদিকের কাজের ধরন আলাদা হয়। তবে যেকোন মাধ্যমে সাধারণ কিছু কাজ রয়েছে। যেমনঃ
·   সংবাদ সংগ্রহ করা;
·    সংবাদের সত্যতা যাচাই করা;
·    সংবাদ সম্পাদনা করা;
·    প্রয়োজনে মানুষের সাক্ষাৎকার নেয়া;
·    বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করা;
·    কলাম লেখা ও বাছাই করা;
·    তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করা;
·     প্রয়োজনীয় ছবি সংগ্রহ করা।
যেহেতু সাধারণ মানুষের জীবনে গণমাধ্যমের সরাসরি প্রভাব রয়েছে, সেহেতু বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা একজন সাংবাদিকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এছাড়া সংবেদনশীল খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে তথ্যদাতার গোপনীয়তা রক্ষা করা বাঞ্ছনীয়।
একজন সাংবাদিকের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ প্রত্যেক সাংবাদিককে প্রাতিষ্ঠানিক সাংবাদিকতা বা গণযোগাযোগ বিষয়ে পড়তে হবে, এমন কোন কথা নেই। বাংলা, ইংরেজি সাহিত্য, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরাও এ পেশায় নিয়োজিত আছেন। তবে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে আগে থেকেই যারা নির্বাচন করে রাখেন, তাদের জন্য সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিষয়ে পড়াই ভালো।
বয়সঃ প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষে বয়সের সীমা নির্ধারিত হয়।
অভিজ্ঞতাঃ কাজ সাপেক্ষে অভিজ্ঞতা দরকার হয়।
একজন সাংবাদিকের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?
·   ভাষাগত দক্ষতাঃ বাংলা ও ইংরেজি – দুই ভাষাতে ভালো দখল থাকা জরুরি।
·  অনুসন্ধানী মনোভাবঃ কোন কিছুর ব্যাপারে অনুসন্ধান করে তথ্য সংগ্রহের মানসিকতা থাকতে হবে।
·  যোগাযোগের দক্ষতাঃ বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে যোগাযোগের অভ্যাস থাকা প্রয়োজন।
·  উপস্থাপনার জ্ঞানঃ পাঠক বা দর্শক-শ্রোতার কাছে খবর উপস্থাপন করার ব্যাপারে জ্ঞান থাকতে হবে।
·   লেখালেখির দক্ষতাঃ বিভিন্ন ধরনের লেখালেখিতে অভ্যস্ত থাকা জরুরি এ পেশায়।
· বিশ্লেষণী ক্ষমতাঃ কিছু ক্ষেত্রে শুধু তথ্য-উপাত্তের উপর নির্ভর না করে লেখায় বা সংবাদে যৌক্তিক চিন্তার প্রকাশ ঘটানো প্রয়োজন।
কারিগরি কিছু জ্ঞান থাকলে আপনি অন্য অনেকের চেয়ে এগিয়ে থাকতে পারবেন। যেমন, ফটোশপ বা ইলাস্ট্রেটরের প্রাথমিক ব্যবহার শিখে রাখলে তা কাজে দেবে। এর বাইরে ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডইন ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে যুক্ত থাকলে আপনার কাজ অনেক সহজ হয়ে আসবে।
আগে থেকে নিজের পছন্দের বিষয়ে ঠিকভাবে জানা উচিত। যেমন, ক্রীড়া সাংবাদিক হতে চাইলে খেলাধুলা বিষয়ক বই, ম্যাগাজিন ও ওয়েবসাইট থেকে আপডেট নেবার অভ্যাস থাকা কাজে দেবে।
একজন সাংবাদিক হিসেবে কপিরাইট বিষয়ক আইনের জ্ঞান থাকা আপনার জন্য জরুরি। সর্বশেষ যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো সৃজনশীলতা। তাই নিজেকে প্রতিনিয়ত সৃষ্টিশীল করে তোলার চেষ্টা থাকা চাই।
সুযোগ পেলে কোন সংবাদপত্রে ইন্টার্নশিপ করতে পারলে অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এছাড়া কাজের অভিজ্ঞতা থাকার কারণে প্রাধান্য পেতে পারেন চাকরিদাতাদের কাছে।
কোথায় পড়বেন সাংবাদিকতা?
বাংলাদেশের প্রায় সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিষয়টি পড়ানো হয়। এর মধ্যে কয়েকটির নাম নিচে দেয়া হলোঃ
·    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
·    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
·    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
·   চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
·   রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
·    ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি
·   ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস
·   স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি
মূলধারার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে প্রেস ইন্সটিটিউট অফ বাংলাদেশ (PIB), বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেকট্রনিক মিডিয়া(BIJEM), পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউটসহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মেয়াদে সাংবাদিকতার উপর ডিপ্লোমা কোর্স প্রদান করা হয়।
একজন সাংবাদিকের মাসিক আয় কেমন?
স্থায়ী ও অস্থায়ী মেয়াদে একজন সাংবাদিক এন্ট্রি লেভেল মাসে গড়ে ৳২০,০০০ আয় করে থাকেন। এ পেশায় অভিজ্ঞতার সাথে সাথে আয় বাড়ার সুযোগ আছে। তবে বেতন সীমা প্রতিষ্ঠান ও কাজের ধরন অনুযায়ী আলাদা হয়।
একজন সাংবাদিকের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?
একজন সাংবাদিকের ক্যারিয়ার কেমন হবে, তা প্রতিষ্ঠান আর কাজের উপর নির্ভর করে।
সংবাদপত্র বা ম্যাগাজিনের ক্ষেত্রে সাধারণত একজন সংবাদদাতা হিসাবে আপনার ক্যারিয়ার শুরু হবে। ২-৩ বছরের মধ্যে কাজের মানের উপর ভিত্তি করে স্থায়ী প্রতিবেদকের পদ পাবেন। এরপর কোন নির্দিষ্ট বিভাগে উপসম্পাদনার কাজ পেতে পারেন। ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে একজন সাংবাদিক পুরো পত্রিকার মূল সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
টেলিভিশন চ্যানেল আর রেডিওর ক্ষেত্রে প্রতিবেদক কিংবা সংবাদ পাঠক/উপস্থাপক হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। পরবর্তীতে সম্পাদক, প্রযোজক, বার্তাকক্ষ নিয়ন্ত্রকসহ অন্যান্য সিনিয়র পদে উন্নীত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

Md. Izabul Alam
General Director and Consultant-
(Security,Investigation and Training)
Private Investigation Services (PIS)
Gulshan-2, Dhaka.
০১৭১৬৫০৮৭০৮
Email- izabulalam@consultant.com

Security বা নিরাপত্তা বলতে কি বুঝায়? একজন আদর্শ সিকিউরিটি গার্ডের মূল দায়িত্ব কি?


Security বা নিরাপত্তা বলতে কি বুঝায়? একজন আদর্শ সিকিউরিটি গার্ডের মূল দায়িত্ব কি?




একজন নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় তথা একটি পোস্টের জান মাল ও তথ্যকে সর্বদা সতর্ক ও জাগ্রত অবস্থায় শত্রুর কবল থেকে সংরক্ষণ করার নামই হচ্ছে সিকিউরিটি বা নিরাপত্তা। নিরাপত্তামূলক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিকে সিকিউরিটি গার্ড বা নিরাপত্তা প্রহরী বলা হয়। বাংলাদেশ সরকারের আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনী যেমন, র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন দেশ ও জাতির জান ,মাল ও তথ্যকে যেমন হেফাজত করে তেমনি বিভিন্ন বেসরকারী নিরাপত্তা সেবা সংস্থার নিরাপত্তা কর্মীরাও জান, মাল ও তথ্যের হেফাজত করে থাকে। নিরাপত্তা বাহিনী সরকারি বা বেসরকারি যাই হোক প্রত্যেকের একই উদ্দেশ্য, আর তাহলো ব্যক্তি, বস্তু ও তথ্যের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। সুতরাং দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের দিক থেকে একজন সিকিউরিটি গার্ড বা নিরাপত্তা প্রহরীর গুরুত্ব কম নয়। সাম্প্রতিক বিশ্বে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা আরো জোড়দার করা হয়েছে। সর্বত্র নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তাই নিরাপত্তামূলক কাজে নিয়োজিত সিকিউরিটি গার্ড এর দায়িত্ব ও কর্তব্যাবলী আর বাসা বাড়ির দাড়োয়ান এর দায়িত্ব ও কর্তব্যাবলী এক হতে পারে না। স্বনামধন্য সিকিউরিটি কোম্পানিগুলো তাদেরকেই নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেয় যাদের মধ্যে সতর্কতা, সততা, বিচক্ষনতা, বুদ্ধিমত্তা, শরীরিকভাবে উপযুক্ততা, ভালোভাবে যোগাযোগের দক্ষতা এবং ক্লায়েন্ট বা মালিক পক্ষের চাহিদাগুলো সম্পূর্ণ করার সক্ষমতার গুণাবলী আছে। উপযুক্ত প্রার্থী বাছাই শেষে তাদেরকে ৭/১৪/২১/৩০ দিনের প্রশিক্ষণ ক্লাসে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হয়। এ ছাড়া সময়ে সময়ে বিভিন্ন পোস্টে গিয়ে রিফ্রেসার ট্রেনিং এর মাধ্যমে ক্লায়েন্টের নির্দেশনা মোতাবেক সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হয। একজন সিকিউরিটি গার্ড শুধু ইউনিফরম পরিধান করে তার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকলেই তার দায়িত্ব পালন শেষ হয় না। তাকে সতর্ক ও সাবধানতার সাথে তার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় পর্যবেক্ষণ বা নজরদারির মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করতে হবে, যাতে কোনো দুষ্কৃতিকারী বা কোনো অপরাধী তার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সিকিউরিটি গার্ডের নজর ফাঁকি দিয়ে প্রবেশ করে জান, মাল ও তথ্যের কোনো ক্ষতি সাধন না করে। মূলত একজন সিকিউরিটি গার্ডের সার্বিক কর্মকান্ড হবে গোয়েন্দা ভিত্তিক কার্যক্রম। আর এই কার্যক্রম পরিচালনা করতে তাকে দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ে প্রশিক্ষিত হতে হবে।
একজন পোস্ট ইনচার্জ বা পোস্ট সুপারভাইজার বা সিকিউরিটি গার্ডকে  অবশ্যই রেজিস্টার মেইনটেইন, অতিথি ব্যবস্থাপনা, গাড়ি  পার্কিং ব্যবস্থা, প্রবেশাধীকার নিয়ন্ত্রন, বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও মোকাবেলা করার পদ্ধতি বা কৌশল, অগ্নি নিরাপত্তা এবং অগ্নি নির্বাপন যন্ত্রের ব্যবহার, ভুমিকম্প নিরাপত্তা ও করণীয় , আর্চওয়ে গেট, হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর, ভেহিকেল আন্ডার সার্সিং মিরর, ফার্স্ট এইড ও পারসোনাল হাইজিন, পোস্ট অর্ডার, জরুরী পরিস্থিতিতে করণীয়, প্যাট্রোলিং ডিউটি, ট্রাফিক কন্ট্রোলিং ও সন্দেহভাজন ব্যক্তি, পার্সেল, প্যাকেজ বা চিঠি ইত্যাদি সনাক্তকরন পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হবে।
এজন্য চাই একটি মান সম্মত ট্রেনিং স্কুল ও দক্ষ-অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ট্রেনার। কিন্তু বাংলাদেশের সিকিউরিটি কোম্পানিগুলোতে অনুরুপ দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ট্রেনার ৯৭% নেই। যার ফলে সিকিউরিটি গার্ডদের গুণগত মান সম্মত ট্রেনিং না দেয়ার কারনে তারা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ সম্পর্কে কিছুই জানে না। অথচ এরাই ক্লায়েন্টের কোটি কোটি টাকার সম্পদ পাহাড়া দিচ্ছে। বাংলাদেশে এখন প্রায় ২৫০০ সিকিউরিটি কোম্পানি আছে। বিভিন্ন ইস্যুর কারনে নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটায়  সিকিউরিটি গার্ডের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ব্যবসার লাইসেন্স পাওয়া খুবই সহজ বিধায় অদক্ষ লোকজন কোম্পানি খুলে চাকরি দেয়ার নাম করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে বেকার ছেলেদের সাথে প্রতারনা করা হচ্ছে। আবার ছোট ছোট কিছু কোম্পানির কারনে বড় বড় কোম্পানিগুলো পথে বসতে চলেছে। ক্লায়েন্ট যেখানে অল্প টাকায় গার্ড পায় তাকেই নিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু মান সম্মত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কারন এইসব কোম্পানির কোনো ট্রেনিং স্কুল নেই। নেই কোনো দক্ষ প্রশিক্ষক। সামরিক বাহিনী থেকে অবসরে এসে অনেকে এইসব কোম্পানিতে চাকরি নেন। কিন্তু তারা ড্রিল/পিটি ছাড়া থিওরিক্যাল পারে না।

সাধারণত এ ক্যাটাগরির সিকিউরিটি কোম্পানিগুলো যেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে তা নিম্নে দেয়া হলোঃ

S/L

Training Subject For Security Guards & Security Supervisors

01

PT/Drill/Discipline & Dressing up.

02

Company History and leaders, Leadership.

03

Man Management, Salary & Service Rules.

04

Uniform/Turn Out/Dressing Up, Cleanliness and  ID Card.

05

Duties & Responsibilities of Standard Security Guards.

06

Discipline & Honesty.

07

Professional Conduct  (Awareness on Anti Social Activities.)

08

English Language for Professional Needs.

09

Visitor Management at Various Posts.

10

Security & Access Control.

11

Professional Conduct  (Truthfulness & Theft Prevention.)

12

First Aid and Personal Hygiene & HIV and AIDS: Basic Info.

13

Maintaining of the Register.

14

Man & Vehicle Searching- Using of (1) Hand Held  Metal Detector (2) Arch Way Gate (3) Scanner Door/X-Ray Door (4) Luggage Scanner and (5) Vehicle Under Searching Mirror).

15

Emergency Situations/ Crisis Management and Warning System. (Fire Safety, Earth Quake Safety/Landslides, Excess Rainfall, Sudden Flood, Occurrence of Theft Robbery, Political Violence, Excited Workers)

16

Various Threats (Bomb, Letter, Parcel & Package).

17

Fire and Fire Safety & Fire Extinguisher’s Using. (Click Here)

18

Patrolling duty. (Click Here)

19

Duties & Responsibilities of  Banglalink Tower.

20

Duties & Responsibilities of  Banglalink Customer Care Center.

21

Duties & Responsibilities of  Banglalink MSC/BSC.

22

Duties & Responsibilities of  Banglalink Regional Office.

23

Professional Conduct  (Attributes of a Standard Guard.)

24

Suspected Access Control ( Suspected Person/Aggressive Person/ Unrolling Person)

25

Professional Conduct -Employee Etiquette and Post Behavior Rules. ( Behavior with Customer/ Client, Visitor, SSSL Officers and Colleague).

26

Suspicious Packages/Parcel & Mail.

27

Duties & Responsibilities of Post In Charge & Post Supervisor.

28

Health & Safety and Traffic Law & Road Safety.

29

Traffic Controlling.

30

Incident Reporting and Documenation/Forms.

31

Security Communication (Verbal/Non Verbal/ Radio Set/Smart Phone/Telephone.)

 

32

Self Defense-(VIP Protection Services with Active Shooting/Unarmed Combat Training).

33

Work Place  Violence.

34

Voluntary Principle of Security and Human Rights (VPSHR).

35

Information Security.

36

Duties and Respomsibilities for ATM Booth.

বিস্তারিত জানতে ATM এর উপর         ক্লিক করুন। (ATM)

37

Duty Rules and Temporary Punishment.

38

C-TPAT

 

39

Job Description.

 

40

Site Specific Training.

 

41

Post Order and Done/Undone in the Post. (For General Post)

 

42

Post Order and Done/Undone in the Post. (For Commercial Area)

 

43

Duties & Responsibilities Of Security Supervisors and Security In charges. (Click Here)

 

44

Examination.

 

45

Oath of Guards/Post Supervisors.

 


এখানে উল্লেখ্য যে, বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। এখন প্রতিটি অফিসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সকল কাজ করা হচ্ছে। তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ট্রেনিং এর সকল বিষয় Power Point এ নেয়া হয়েছে। এখন প্রতিটি বিষয় প্রজেক্টর এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এতে সুবিধা হচ্ছে প্রতিটি আলোচনার সাথে সাথে ভিডিও দেখানো যায়। তাতে প্রশিক্ষণটি প্রাণবন্ত ও ফলপ্রসু হয়।

 সিকিউরিটি গার্ডদের ট্রেনিং এর বিষয়ে যেকোনো পরামর্শ নিতে বা ট্রেনিং মডিউল বা ট্রেনিং গাইড বই বা Power Point নিতে যোগাযোগ করুন। ট্রেনিং সংক্রান্ত ১০০টির অধিক বই যা আপনার ‍সিকিউরিটি কোম্পানির ক্লায়েন্ট সন্তুষ্টির জন্য সহায়ক হবে। প্রতিটি বই সর্বশেষ বাংলা ভাষায় রচিত। যা বাংলাদেশের কোনো সিকিউরিটি কোম্পানিতে নেই। স্বল্প সংখ্যক বই Securex  এ দেয়া আছে।

 

Written By  

Md. Izabul Alam

Consultant & Specialist (Security, Training & Investigation)

Author of Many Security Books.

 

GENERAL DIRECTOR,

Private Investigation Services  (PIS)

PRINCIPAL,

Bangladesh BCS Coaching  (BBC)


GENERAL DIRECTOR,

Medina Sahih Hadith Research Center  (MSHRC)

Contact Me:-

Md. Izabul Alam

01534143644 (Whatsapp)

izabulalam@gmail.com

 

 
সহজে সরকারি চাকরি পেতে এবং যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ১০০% প্রশ্নোত্তর কমন পেতে এর উপর ক্লিক করুন।

বেআইনীভাবে চলছে সিকিউরিটি কোম্পানিগুলো-দেখার কেউ নেই। (BDC CRIME NEWS24)

BDC CRIME NEWS24 বেআইনীভাবে চলছে সিকিউরিটি কোম্পানিগুলো-দেখার কেউ নেই বাংলাদেশে ট্রেড লাইসেন্সধারী সিকিউরিটি কোম্পানির সংখ্যা প্রায় ১০ হা...