লাইসেন্সকৃত
অস্ত্র আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহার করা যায়। অন্য কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় না।
কারন লাইসেন্সটা দেওয়া হয় শুধুমাত্র ব্যক্তি তার নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র ব্যবহার
করতে পারে |
যাদেরকে
লাইসেন্স প্রদান করা হয়:
বাংলাদেশে
চলমান ১৮৭৮ সালের Arms Act ও ১৯২৪ সালের Arms Rules এর আওতায়
সামরিক/বেসামরিক/অন্যান্য ব্যক্তিবর্গকে অনিষিদ্ধ বোরের আগ্নেয়াস্ত্রসমূহের
লাইসেন্স প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে যেকোন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দু’টি
আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনকারীর
বয়স শর্ত ব্যারেল আগ্নেয়াস্ত্রের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০ (ত্রিশ) বছর এবং লং
ব্যারেলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২৫ (পঁচিশ) বছর হতে হয়। আবেদনকারীকে অবশ্যই আয়কর
দাতা হতে হয়। শিল্পপতি/বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে বছরে ন্যূনতম ২.০ (দুই
লক্ষা) টাকা আয়কর প্রদান করতে হয়। আবেদনকারীর অনুকূলে পুলিশ প্রতিবেদন থাকতে
হয়।
আগেয়াস্ত্র
সরকার থেকে কিনতে হয় না তবে যাদের সরকারী লাইসেন্স আছে তাদের কাছ থেকে কিনতে হয়।
আগ্নেয়াস্ত্র
কেনার শর্তাবলী-
বয়স
ত্রিশ বছরের বেশি হতে হবে, যারা বাৎসরিক ২ লাখ টাকা কর প্রদান করে থাকে তারাই
একমাত্র -অস্ত্র কিনতে পারেন |
কাগজপত্র
যা যা লাগবে – নাগরিক সনদপত্র, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, ট্যাক্স
সার্টিফিকেটের ফটোকপি, ৬ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, লাইসেন্স ফি ৩,০০০ টাকা |
অস্ত্র
বডিগার্ড ব্যবহার করলে অস্ত্র বডিগার্ড এর নামে লাইসেন্স থাকতে হবে |
যদি
মালিক কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করে তার নামেও লাইসেন্স থাকতে হবে |
অস্ত্র
ক্রয়ের ক্রয়ের পর কোন কারনে অস্ত্র হারিয়ে গেলে সাথে সাথে থানায় জিডি করতে হয়
|
এক
বছর পর পর লাইসেন্স নবায়ন করতে হয় |
ডিসি
অফিস থেকে ফরম সংগ্রহ করে জমা দিবেন।
জেলা
প্রশাসকের কার্যালয় থেকে লাইসেন্স নবায়ন করাতে হয় | লাইসেন্স নবায়ন করতে কোন
প্রকার ফি লাগে না | পুরাতন লাইসেন্স দেখিয়ে নতুন লাইসেন্স করতে হয় |
দেশের
বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ঢাকায় বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্রের দোকান দেখা যায়। তবে
এসব দোকান থেকে চাইলেই যে কেউ আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয় করতে পারে না। আবার যারা ক্রয়
করতে পারেন তারা ক্রয়ের পর সরাসরি তা বহন করতে পারেন না। এজন্য আগ্নেয়াস্ত্রের
লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হয়।
অনিষিদ্ধবোরের
সকল প্রকার লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রদান করা হয়। তবে পিস্তল ও
রিভলবার লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণ আবেদনকারীর ব্যক্তিগত
সাক্ষাৎকার গ্রহণ করবেন এবং প্রকৃত প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে রিভলবার/পিস্তল
লাইসেন্স প্রদানের সুপারিশসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পুর্বানুমতির জন্য প্রেরণ
করবে।
অন্যান্য
লং ব্যারেল অস্ত্রের ক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লাইসেন্স প্রদান করেন। তবে
লাইসেন্সে লিপিবদ্ধকরণের ৫ (পাঁচ) বৎসরের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রয় করা যাবে
না।
কোন
লাইসেন্সধারী ব্যক্তিকে অস্ত্র ক্রয়ের ৬ (ছয়) দিনের মধ্যে লাইসেন্স ইস্যুকারী
কর্তৃপক্ষের নিকট ক্রয়কৃত অস্ত্র উপস্থাপন করে লাইসেন্সে অস্ত্রের তথ্যাটি
লিপিবদ্ধ করতে হয়।
আবেদনকারী
যদি আর্মি এ্যাক্টের আওতাধীন ব্যক্তি হন (সামরিক কর্মকর্তা) তাহলে নিজ স্থায়ী
আবাসস্থলের সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে
আবেদন করতে পারেন। আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রাপ্তির সকল আবেদন সংশ্লিষ্ট জেলা
ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট দাখিল করতে হয়। আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ফি একবারের জন্য
প্রযোজ্য তবে লাইসেন্স নবায়ন ফি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের জেএম শাখায় ট্রেজারী
চালানের মাধ্যমে জমা দিয়ে প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নবায়ন করতে হয়।
সংশ্লিষ্ট
জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণ ৩১ জানুয়ারী পরযন্ত জরিমানা ছাড়া নবায়ন করতে পারেন। উক্ত
সময়ের পরে নবায়ন করতে হলে জরিমানা প্রদানসাপেক্ষে লাইসেন্স নবায়ন করা যাবে।
উল্লেখ্য, জরিমানার পরিমাণ মূল লাইসেন্সে প্রদেয় টাকার সমপরিমাণ।
প্রজাতন্ত্রের
কর্মচারী হিসেবে চাকুরীর বদলীজনিত বা অবসরগ্রহণের কারণে বেসামরিক
কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ তাদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নিজ কর্মস্থল/বর্তমান
আবাসস্থলের সন্নিকটস্থ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট থেকে নবায়ন করতে পারবেন। উক্ত
নবায়নের তথ্য অবশ্যই লাইসেন্স ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষ (সংশ্লিষ্ট জেলা
ম্যাজিস্ট্রেট) কে অবহিত করতে হবে।
Arms
Rules 1924 এর Chapter – III এর ৫০ বিধি অনুযায়ী কোন ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স
ট্রান্সফারের আবেদন করলে তা যথা নিয়মে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণ নিষ্পত্তি করবেন। তবে
এক্ষেত্রে লাইসেন্স ইত্যুকারী কর্তৃপক্ষের অনাপত্তি থাকতে হবে।
No comments:
Post a Comment